জ্বর বাড়ছে,
জেব্রাক্রসিং-
লাল নীল হলুদ আকাশে নিয়ন বাতি,
জ্বর বাড়ছে –
আর তুলোর জ্বরে হাতের রেখায় ভর করে
উড়ছে ঘুড়ি,
নাটাই সুতার নীচে
দীর্ঘ হচ্ছে পৃথিবীর
সমানবয়সী প্রকাশ্য অভিযোগনামা।
পাখিদের সান্ধ্য-আইন আর জ্যামিতিক
গল্পগুলোকে ধুয়ে এনে,
আমার নীরেট বায়ুশরীরে এড়িয়ে জাগতিক জঙ্ঘা,
বুদবুদের কুয়াশায় ঠায়,
তোমার স্পর্শে বাকরুদ্ধ হই,
তোমার ঠোঁটে হই স্তব্ধ।
খিলগুলো তুলে দিয়ে তাই দেখা হয়না
সেফটিপিন খুলে –
“দরোজার ওপাশেই;
স্তনারণ্যের প্রত্যাশিতগল্পে
স্পর্ধায় সকল যতিচিহ্নগুলোকে নিষিদ্ধ করে
নিঃশ্বাস যাচ্ছে ছেড়াবোতামের অন্ধগলি।”
শুধু দেখি-
” জ্বর বাড়ছে স্তব্ধতার মোমবাতি চুইয়ে শরীরেরই বাড়ছে জ্বরের শরীর,
মিলিয়ে যাচ্ছে একের ভেতর আরেক।“
বালিশগুলোকে কানে কানে তাই বলছি-
আজ রাতে বাতিটা নিভিয়ে দাও –
এখনই ঘুমিয়ে পড়ো,
দৃশ্যমান দৃশ্যের পকেট থেকে গড়িয়ে
পড়ে শব্দ
দাঁড়িয়েছে শিয়রে।
বর্ণমালা দাঁড়িয়েছে ধরে আঙুল
অসাধ্য রোদের।