প্রতিটা জীবিত মানুষের ভেতর একটা করে মৃত মানুষ হাটে, অস্থিরতায়।
প্রতিটা পরাজয়ে তুমি শানিত হও, প্রতিটা জয়ে এগিয়ে যাও ধ্বসে,
তুমি সেই আঙুল, যা একদিন ঠিক যথেচ্ছাচারে কেউ ঠেকিয়েছিলো তোমার ঠোঁটে।
সে যাকগে মলয়, জায়েদ… একদিন ধ্রুব আবার ঘরে ফিরবে কবিতার ঘরে
একদিন ডাক্তার বুঝবে একটা কবিতা লেখার জন্য জন্মের সময়,
তা আলোকিত রেস্তোরাঁর ছাইপাশে নষ্ট হচ্ছে
হিমেল, আপনার সাথে রাস্তায় চলাচল খুব কম আমার,
হয়ত টুকটাক কথা হয়, দেখা সে আরও কম
সৌমেন এক ভ্রষ্ট নিরোধ, খেয়ে দিচ্ছে রাস্তায় খেলা ফুটবল অথবা ইথারের কবিতা
পেছাচ্ছেন কবিতা সে’তো জন্মেই পরাজিত ঈশ্বর এক, তাকে পরাস্ত করবার,
তাকে জাদুঘরে তুলবার কোনও যোগ্যতা কলেরা হাসপাতালের সাবেক কর্মীর আছে বলে মনে হয়না
সকাল দা সূর্যোদয়ের আশায় আপনারা বারবার মাহফিলে যাচ্ছেন,
হয়ে উঠছেন ইতিহাসের দীর্ঘদেহী নিঃশ্বাস এক
শহরের কালো রাজপথ রক্তাক্ত সে অনেক আগেই
বৃথামাংস ফেলে যাচ্ছেন কার আশায়?
শহরের উঁচু সারি নীচু জিহবা বাধাগ্রস্ত জংঘা
স্তনমৈথুণ অথবা এংলো ইনকা জাতিরজনক হা হা হা করে হাসতে হাসতে
এগুনো স্থুল স্থিরচিত্র যেখানে আতিক আর হৃদয় বসে চা খাচ্ছে কবিতা ভাবছে লিখছেনা কিছুই
প্রেমের কবিতা দ্রোহের কবিতা বলে বলে ভাগাড়ে চলছে ভাগ
মানুষ কেবলই মানুষ ভালো মন্দ বিশেষণ নাই বা জুড়লেন
এত এত সব কবি হা হা কা রে অথচ আমি হাহাকার লিখতে স্পেস দিয়ে বসি
আমার কবিতা হয়না বলেই আমি চেয়ে রই,
আমার শব্দ বাক্যগঠন প্রণালীতে ভুল হয় বড়,
আমার ছন্দ মাত্রার জ্ঞান নেই, আমার আলো টানবার যোগ্যতা নেই
মিথ্যে ফেরেশতা মিছিল নেই সাদতের মতন,
আমি প্রিতির মতন বিখাউজ আঙুলে তুলে আনতে পারিনা নখে; আমার নাকের ময়লা
আমি প্রথমালো কবি নই
তাই লেখাগুলো বিক্রি করে ম্যাটসিলস চুষতে চুষতে বলতে পারিনা – আজ বিক্রি হই,
সবাই চিনুক তারপর কবিতা লিখবো
জানেন আমি একদিন রাত দুইটায় ডাক দিয়ে ফেলি বিপদজনক মহিলাকে কারওয়ানবাজারে
পরদিন শিরোনাম রাষ্ট্রীয় স্তনে নিহত মিছে প্রতিবাদ প্রতিরোধ প্রতিঘাত কবিতার জলাতঙ্ক!
যাক স্বস্তিতে মজহারের মাজহাব গোষ্ঠি
স্বস্তিতে বরিশালে একজন মনিরুল মেরাজ যিনি একদিন কবিতা লিখতেন!
আপনারা তাহলে সবাই যার যার মতন চুপ করে থাকুন,
যেভাবে ৯-৫টা চুপ হয়ে গেছেন রাকিবুল হায়দার,
যেভাবে পাশ কাটিয়ে কবিতা, পত্রিকার নোটিশ লিখছেন মাহতাব তুহীন।
যেভাবে ব্যঙ্গয় নিয়ে খাবি খেতে খেতে সাম্য লিখছেনা, লিখছেনা হয়ে যাচ্ছে সমালোচক অর্ক,
আর টুইটার টিউশনিতে রোবায়েত পড়ে আছে উর্ণ ফণা তোলা গিটারের
তারের মিউটেশন মিউট্যান্ট মিলিশিয়া বাহিনীর তক্তপোষের খরপোষে।
যেভাবে অস্থিরতায় একজন মাহবুব ময়ুখ রিশাদ লাথি মারতে চেয়েও
শব্দ হবে ভেবে তাকিয়ে থাকে নগর উন্নয়নের চৌধুরী ফাহাদের দিকে।
দেবু’দা আছেন বিন্দাস, কবিতা টবিতা ছোড় দে মেরে ভাই-নকিবও ব্যস্ত
জয়ন্ত জিল্লু বারবার রেডিওলোজীর কঠিন তত্তে খুঁজে ফিরছে মুক্তির সনদ।
আচ্ছা যদি কোনও দিন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরের কবরের মতন বুদ্ধিজীবী বুদ্ধিবেশ্যারা
হতশ্রী করে কবিতার জমিন
– লিখিয়ে নিলো অনুভবের ওড়নায় কালপরশু কালপুরুষের অনুবাদে
আসমা অধরার শানিত বাক্যে
আমার এপিটাফে- ” ইহা সো রাহা হ্যায় এক গাদ্দার…”
ভাবুন তো……ভাবুন তো একবার স্রেফ একবার!
হাহ
সে সব কথা থাক
রাতে ঘুম ভালো হয়েছে,
শাদা শার্ট গুজে দিয়ে প্যান্টের ভেতর, আমি সরকারি কর্মচারী প্রতিটা নোট থেকে তুলে আনি-
চাহিবা মাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে।
ব্যাস আর কিছু নয় –
ভুলে যান ভুলে যান
ক্যালেন্ডার এক মিথ্যে ধর্ম- যাজক