বিপুল বৈপরীত্যের দূর্লভ জীবন আমার,
যখনই মরে যেতে চেয়েছি বিক্ষুব্ধতায়,
যখনই আত্মহত্যা করতে ঠেসে দিয়েছি আমাকে ট্রাকের নীচে,
বাসের সামনে,
সিরিঞ্জের ভেতর পৃথুলা পৃথিবীর বিক্রয় রশিদ নিয়ে,
কণ্ঠনালীতে প্রবেশ করিয়ে অমোঘ বিধান,
কিছুতেই হয়নি কিছুই। কিছুতেই কিছুই হয়নি।
যখন রাত দশটায় কবি’র কবিতায় পড়ে ফেলি
তোমার সাথে আমার দেখা হয়,
তোমার সাথে আমার দেখা হয় প্রিয়তমা,
তোমার সাথে আমার কথা হয়,
বুকের ভেতর রেখে মুখ,
তোমার সাথে আমার বিনিময় হয় দৃষ্টি,
মানিব্যাগে তোমার লাল সূর্য নিয়ে অতঃপর
তোমার সাথে আমার বিষন্নতা নিয়ে দেখা হয় আবার,
আবার আমাদের খুব কথা হয়,
একটা ট্রেন হুইশেল বাজিয়ে তোমার পুকুর খনন করতে করতে
আমাকে ডুবিয়ে নিয়ে যায় জীবনে।
( মধ্যরাতের কুকুর বন্দুক হাতে নিয়ে
তুমুল বাজে রাগ ভৈরবীতে।)
আমার সাথে কথা হয় ঈশ্বরপত্নীর।
আমার সাথে কথা হয় আমার।
তোমার সাথে আমার দেখা হবার পরই প্রথমবার,
প্রথমবার আমার বেঁচে উঠা হয়,
ইচ্ছে হয় হট্টগোলের বাইরে থেকে,
আমার ইচ্ছে হয় তুমুল বাঁচি।
রবিবার ভাল্লাগেনা বলা আমার সময় আমি ধরতে পারিনা,
আমি সোমবার বসে থাকিনা,
পাশ দিয়ে সাইসাই সাইকেল,
আমি মঙ্গলবার পানশালায় যাইনা,
পাশ দিয়ে হুরহুশ বাস।
আমি বুধবার রিক্সায় আগুন্তক ট্রাক,
আমি ভয় পাই, আমি হাসি,
আমি উন্মাদ হয়ে উঠি
আমি তাকাই ত্রস্ত হাতের পাতায় নেমে আসা রাতে,
আমি বিপুল বিরুদ্ধতা নিয়ে আকাশে তাকিয়ে থাকি,
আমি বলতে থাকি
আমি বাঁচি, আমি হাসি
আমি হাতে নিয়ে আঁকি আমার জন্মদিন।
আমি
বিপুল বৈপরীত্যের চলচ্চিত্র আমার দেখতে থাকি।
আমি
দেখতে থাকি আমার সাথে তোমার কথা হয় দারুন।
আমি
জানতে থাকি একবার কেবলমাত্র একবার বেঁচে উঠতে চাইলেই
বিপুল বিস্ময়ের আয়ু কমতে থাকে আমার।।
একবার বাঁচবো আমি বলতেই দেখি শিয়রে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে
হাসছেন আজরাইল।
অথচ
তোমার সাথে আমার দেখা হয়, আবার।