আমিতো জন্মান্ধ ছিলাম না,
পা বের করে বুকের সংসারে ধুয়ে মুছে হৃদয়, শুয়ে’তো ছিলোনা কোনো ধীবরজায়া।
আমিতো বধির ছিলাম না,
শুন্যতার অক্ষজুড়ে নিজের শব নিজের কাঁধে নিয়ে ফেরিতো করিনি নিঃসঙ্গতার।
আমি, আমিতো পঙ্গু ছিলাম না,
বড় হওয়া রাস্তাঘাট, সদালাপী কবরস্থান জুড়ে করিনি তো চাষ গর্ভে বেড়ে ওঠা পিতৃত্বের।
তবে, দোলনচাঁপার স্নিগ্ধতায়, রক্তজবার উষ্ণতায়,
আকন্ঠমগ্ন হতাশার কনষ্টেবল আমাকে গ্রেফতার করে
কেনো তিনশত দুইধারায় হস্তান্তর করবে সিভিল সার্জনের ঘরে?
আমার করোটিতে রোদ্দুর ঢুকেনা মহামায়া,
আমার পাঁজরে পাঁজরে ঘ্রাণ ভালোবাসার,
আমি বুকে হেটে পাড়ি দেই
ফোরাত নদ,
এক্লিপ’স পর্বত,
স্থলবাহিনী বেষ্টিত আলবামা শহর,
যীশুর কাছ থেকে চেয়ে আনি ক্রুশ,
শেষ জাহাজ থেকে লাফিয়ে বায়তুল মুকাদ্দাস
পাড়ি দিয়ে নোঙ্গর ফেলি অবশেষে তোমার সিথানে।
তোমার বাবার সাথে আমার দেখা হয়না,
দেখা হয়না মায়ের সাথেও,
পরকীয়ায় মগ্ন তোমার ছোটবোনের সাথে পতঙ্গভুক সন্ধ্যায়
হ্যাজাকের আলোয় বিদগ্ধসমাজ ব্যবস্থাদি নিয়ে কথা হয়,
বুকের খাঁজে দেখা হয় হতদরিদ্র মধ্যবিত্ততা!
তোমার সাথে দেখা হয়না পৌণে দুইশ বছর,
মহামায়া দোতালার ব্যালকনী জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে ব্জ্রবিদ্যুত,
পয়মন্ত মেঘেরা পথভ্রান্ত ব্লাউজের বিলবোর্ডে যখন আশ্রয় প্রার্থী,
ঠিক তখন – কথাদের কথা দেয়া কথায় হেটে যাবো বহুদূর আমরা আমাদের ছায়ায়,
আমাদের গন্ধে, বিশ্বাস আর অবিশ্বাসে, ঘৃণা আর ভালোবাসায়।
ছিড়ে ফেলে দ্যোতনার দূরত্ব দেখো মুখ তুলে দেখো –
ঈশ্বরের অন্ধকার হেরাগুহায়,
লিপিবদ্ধ পান্ডুলিপিতে আমি
অবশেষে ফেব্রুয়ারির মুখ থেকে তাড়াতে বেনিয়া মাছি
একটা আত্মহত্যা স্থগিত করে এসেছি।