সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করে ফেলা আমার লাশ যখন রাস্তায় পরিচয়হীন,
আঞ্জুমান মফিদুলের অপেক্ষায় তখন পাঠক বলে ফেলবে একটা কবিতা পড়লাম।
আমার আত্মহত্যা সংবাদ বাতাসে বাতাসে প্রচারিত হতেই,
তিনদিনের টানা বৃষ্টিপাতের শহরে নেমে আসবে ঝড়,
মোড়ে মোড়ে চীতকার করে শোক প্রকাশ করবে রাস্তার কুকুর।
আমার লাশ শনাক্তকরণে ব্যর্থ পৃথিবীর তাবত
ষোলো থেকে চল্লিশ বছরের নারীরা বলে উঠবেন
জানতাম আমরা জানতাম বুকের ভেতর থাকা মানুষটা যাবে কবে?
জানতাম আমরা জানতাম।
আমার লাশের উপর আছড়ে পড়বে সকল প্রেমিক, ভবঘুরে
টোকাই, চায়ের দোকানদার
ওরা বলবে
আমাদের স্বজন আমাদের বুঝিয়ে দিন।
অবশ্য একাডেমীক কবিবৃন্দের ঘরে ক্লাবে চলবে স্বস্তির চিয়ার্স।
রাষ্ট্র বলবে
যাক বাঁচা গেলো।
আমি জানি আমার মৃত্যুর পর
এই শহরের একটি জানলায় বসে থাকবে আমৃত্যু একটা বাবুই।
দাঁতে দাঁত কামড়ে যে বলবে –
আমি রাস্তার মানুষ।
আমি রাস্তায় কথা বলি।
আমি রাস্তার মানুষ তাই আমাকে ক্রমাগত
শীতকাল নিয়ে কথা বলতে হয়।