আমরা ফুল দেখতে পাবো
কিন্তু গন্ধের ভিতরে যাওয়ার মতন সাধারণ হওয়ারও সুযোগ পাবো না।
আমরা অসাধারণ হয়ে থাকতে থাকতে মরে যাবো।
হিস্টিরিয়াগ্রস্ত রোগীর পুরানো নষ্ট হয়ে যাওয়া রেডিওর
মতন রিপিটেশনে বিপ্লব বিপ্লব করতে থাকবো।
আমরা মশারীর ভেতর ,
ছুড়ে ফেলা জালের ভেতর ,
গর্ভের ভেতর
কেবল বিস্ফোরণে বাড়াতে থাকবো মানচিত্রে জনসংখ্যা।
আমাদের জীবনটা কেটে যাবে আবেদনপত্র লিখতে লিখতে,
আমরা ভুলে যাবো জোছনা ছোঁয়ার সময়।
ভুলে যাবো চিঠি,
যে চিঠিতে তোমার গন্ধ পাওয়া যেতো ,
যে চিঠি হাতে লেখা
যে চিঠিতে চাইলেই বর্ষা কেটে বসন্ত লিখে দেয়া যেতো,
আমরা ভুলে যাবো সে চিঠি লিখতে।
একদিন আমি এবং আমরা
তোমাদের ভদ্রস্থতার মুখ ও মুখোশের সমাজকে লাথি মেরে
বৃষ্টিস্নানের পর যেভাবে পথ থেকে মুছে যায় ধুলোর স্পর্শ ,
ঠিক সেভাবে মুছে যাবো,
তোমরাও আনন্দে ভুলে যাবে
পথ থেকে পায়ে মাখা ধুলোর দাগ মুছে দিলেও
পড়ে থাকে দাগ মুছে দেয়া দাগ।
সব ভুলতে ভুলতে
একদিন তোমরা জানবে প্রতিবাদ করতে থাকা
কৃষ্ণচুড়া ঘরে।ফেরে রাত দশটায়,
প্রতিবাদহীন রজনীগন্ধার শোপিস হয়ে নতজানু করজোরে!
তারপর সেদিন
সব খুলতে খুলতে সুখি শুকর যাপন অভ্যস্থতায়
তোমরা বুঝতেই পারবেনা,
ফুলেদের পাখিদের কোনও পোশাক থাকেনা।
ভুলে যাবে তোমাদের বগলে থাকা বাইবেল~
“ধর্ম মানেই মানুষ, মানুষ মানেই বিশ্বাস, ভালোবাসা।
ভালোবাসা মানেই অনুভূতিহীন কামার্ত শরীর নয়,
নয় উন্মত্ত ভোগ!
শরীর মানে হৃদয়, শরীর মানে অন্যকিছু।
হৃদয় , সেতো শরীর থেকে আলাদা কিছু নয়।”
একদিন এইসব শব্দে
ভ্রু কুচকে হেসে উঠবে চোখ বয়ে যাওয়া ক্ষরা,
একদিন এইসব পাগলাচোদা সংলাপ
পড়তে পড়তে সামাজিক অশ্লীলতায়
খোলা জানলার মতন অসভ্য বিকৃত যৌন আচরণের বিনির্মিত
নাগরিক সভ্যতায় মেতে ওঠবে সময় মৌতাতে,
নসিহতে হবে মশগুল
ক্ষয়প্রাপ্ত ধাতুর পৃথিবী তোমাদের।
সকল আদমশুমারী থেকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করবে আমাদের।
একদিন প্রেমিকাহীন গণিকার সভ্যতায়
বিরল হবে হৃদয়-
অথচ প্রেমহীন শরীরের সুলভ দাসত্বে ঝুলে থাকবে তোমাদের চোখ,
কেটে নেয়া জিভে বলবে-
একটা প্রেমের কবিতা চাই, রগরগে!
ইজেরবন্দী আলোয় ফুলে ওঠা উরুসন্ধির সুশীলতায়
আলোহীন অন্ধ নজরবন্দী জীবনে খুঁজতে থাকবে পেটিকোটের নারা!
এইসব অসাধারনত্বের রক্ত,
পরিযায়ী রক্তে
সাধারন না হতে পারা আক্ষেপে
একদিন আমরা মরে গিয়ে হাল্কা করবো পতাকার ,
বাংলা কবিতার ঋণ!
।