Review This Poem

আড়মোড়া ভেঙে আকাশের কাছে তবেই আক্ষেপের রুমালটা বিছিয়ে দিয়েছিল সেই সাত রঙের বাহারি সুনীল,নীরা’র আধ খাওয়া বিস্কুট এখনো চায়ের কাপে নেতিয়ে আছে তার,স্তব্ধতার জানালা খুলে যেই না উড়ালপথ মেঘেদের পথ কবি বানিয়ে গেল,সুবাস ছড়িয়ে নি:স্বার্থ ভালো লাগা উজান ভাবের দড়ি ধরে টান দিল,কবি হবেই হবে সে,এটাই কাব্যিক আশা ভরসা,দু’পা হেটে গেলেই যে নির্ভরতার আভাস পাই সেখানে অস্তিত্বের কাঠ কয়লা পুড়িয়ে একজন প্রকান্ড ত্যাজি পুরুষ মিথকে বেগ দিয়ে উঠতে শেখায় আধুনিকতার আধিপত্যে।আমি রাকেশের অনেক কাছে গিয়ে দেখেছি, এখানে সুনীল বেকারত্বের ছায়া মাড়ায় নি কিন্তু কি সুর দিয়ে মধ্যবিত্তের জীবনকে নিংড়ে দিয়েছে চাওয়া পাওয়ার আঁকড়ে।আমার সভ্যতায় অসম্ভব দোটানা, এখানে কেউ জানেই না কি নিরন্তর প্রচেষ্টায় একটি লাবন্য, কেতকী হারিয়ে যায় নীরা’র দুটি
চোখে,অমিতের শেষ কবিতায় অম্লান হয়ে উঠে রেকেশের প্রিয়া’র প্রতি প্রেম উত্তাপ।কাদম্বরী নিস্তেজ প্রানে রবি প্রেমে মত্ত আজও, কিন্তু আধুনিকা নীরা কেতকী’র বৈভব সব সাধারণ মেয়ের ঘন,কালো চুলের মায়ায় সুনীলের তান্ডব কান্ডে মাত দিয়ে চলেছে এখনো, আমি সেই একটি সুনীলের চরিত্র দোত্যনায় বিশ্ব রেশ টেনে ধরে ছুড়ে দেই তোমাদের ফ্যাসিবাদী আধুনিকতার জলে,যেখানে জীবন কেবল তোমার নিজের ছায়া!
আকাশের মায়া আছে, মন্দ রাজার ছায়া আছে,ভালো সবার মনে ক্লেশ আছে,ঘাতক চিনছে গাতকের সময় আর মাহুত ভিড়ছে অন্য পাড়া,তবে কেন একটি আকাশে আমাদের তারাদের পেছনের গল্প নিয়ে হচ্ছে না লাজ,বেহায়া আজ নিচ্ছে কিনে টাকার দামে সব।তবে কি আকাশ সুনীল নয়!

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments