বানের স্রুতে সব শেষ
একডা ভাংগা গাছ ত দেহি,
একডা এক টেহার কয়েন
গাইথা আসে!!
টিনের চালা, মাইনষের হাড়ি পাতিল
তাল গাছ’র আগাত,
ফানি আর ফানি ফুরা গ্রাম।
নৌহা লাগে একখান ত আরেক খান ও যাইতাম!!
কি মাইনষের জীবন রে ভাই!
কি যে মাইনষের কষ্ট
নিজের চুক্ষে না দেখলে বিশ্বাসই
করতাইন না বুজ্জুইন??
বানের টান ত সব ফসল শেষ
জমির পর জমি উজাড় হইয়া গেসেগা!
সব মাইনষের কান্দন আর আহাজারিত
আকাশ বাতাস কান্দে,
কিন্তু উফরের লুকডার কি
ইট্টু ও ফাষান মনডা গলে না??
ঘর গেসে, বাজার ত দুকান গেসে,
ক্ষেতের ফসল সব গেসে,
ফুরা বছরের পরিশ্রম
এক বানে ই শেষ।
ছিন্ন ভিন্ন হইয়া গেসে
আমরার হাওড়ের ফারের
মাইনষের জীবন!!
খাওয়ার ফানি নাই,
দুইডা ভাত ত আরো দুরের কথা।
ফুস্কুনির মাছ একডাও নাই
হাস,মুরগি, গরুর খামার সব
লইয়া গেসে বান!
মাইলকে মাইল গাছ পালা সব,
উজাড় হইয়া গেসে।
গ্রামের কৃষক ব ধুর ফ র নে নাই শাড়ি,
বাচ্চাডি কান্দে এক মুঠ ভাতের লাইগা
রোগ শোকে ফাগল প্রায় সব।
নিঃস্ব মানুষডির
কুনুখান ও থাহার জায়গা নাই!
তাও থামে না ঝড় বিরিষ্টি
কেউ আসে স্যালাইন লইয়া,
কেউ আসে খাবার ফানি লইয়া,
কেউ আসে খাবার লইয়া,
কেউ বা আসে কাফড় বিলাইত,
উফরের বড় বড় মানুষডি
কালি টেহা দেওয়ার কথা কইয়া
ইয়া বড় বড় বাষন দিয়া যায়গা!!
তারপর আবার যেই কি সেই
ফাহাড়ের মানুষডি
হাওড়ের মানুষডি,
খালি একবার ঘর বান্দে আর বানের টানে
আবার সব শুন্য হইয়া
রাস্তাত নামে!!
হায় রে উফড়ালা!!
আফনে কি সত্যই আছুইন??
মাইনষের হাহাকার দেইক্ষা যাওহাইন!!
কুলা আকাশ ডাই কি তাইলে ওদের
জায়গা??
হেরা রে ও কেন ভাসাই নিলেন না??