সীমন্তিনী, তোমায় ডেকে পাইনি সাড়া,
দুয়ার ঘিরে ছিল হাজার কাটার বেড়া ।
কেন তবে বনের পথে, সীমন্তিনী
কেন তবে এই কুয়াশায়, সীমন্তিনী
একলা এলে পথ হারালে
বনের পথে কেন আমায় পথ ভোলালে, সীমন্তিনী ।।
সীমন্তিনী, এখন তোমার চোখের আঁচে
দুটি ভুরুর মধ্যিখানে গনগনে লাল সিঁদুর আঁচে
উড়ে-পুড়ে, খাক হল সব রাত্রি-দিবস ।
সীমন্তিনী, প্রিয় কাফের তোমার প্রেমে আজো বিবশ …….।।
সোমলতা! কুয়াশাবৃতা!!
নদীর ওপাড়ে ঘন কুয়াশায়-
কুয়াশার ফুল কুড়াতে এলে!
মাঝখানে আজ বহমান পানি রচে ব্যবধান-
রচে ব্যবধান তোমার আমার;
রচে ব্যবধান দুই বাংলার!
তাই কি এলে ওপাড়ের মেয়ে!
সব কাজ ফেলে- তাই কি এলে!
কুয়াশার সেতু বাঁধবে বলে- তাই কি এলে!
রেলগাড়ি ঐ চলে গেল শুনো রাত্রি চিরে,
কথা ডুবে গেলো অতল তিমিরে!
অপলক তুমি চেয়ে আছো মুখে- অপরিচিতা!
কুয়াশায় গড়া অলীক মানবী – কুয়াশাবৃতা!
ভেঙ্গে ভেঙ্গে যায় কুয়াশার সেতু –
উঠেছে হাওয়া,
মূহুর্তজাল ছিড়ে চলে গেলে কল্পকায়া-
পাগলহাওয়া!
রক্তে জোয়ার হলো দূর্বার- তোমাকে চাওয়া! তোমাকে চাওয়া!!
কাফের তোমাকে ভালোবাসলাম বলে,
ছায়া মরে গেলো, তারা নিভে গেলো,
সাগর উঠলো জ্বলে!
মহাকাশ জুড়ে উল্কাবৃষ্টি,
শিহরিত হলো সকল সৃষ্টি,
পাহাড় পড়লো টলে!
এ দুঃসময়-ঘোর প্রলয়
কেবল তোমাকে ভালোবাসলাম বলে।
কাফের তোমাকে ভালোবাসলাম বলে,
অকালবোধনে বসন্ত এল্
কৃষ্ণচূড়া অবনত হলো ফুলে,
চরাচর জুড়ে এলো হাওয়া উত্তাল-
নাচে ধমণীতে শোনিতের শ্রোতে –
উদ্দাম মহাকাল!
কাফের তোমাকে ভালোবাসলাম বলে!
এত সুন্দর কবিতা কেউ কি আর লিখবে ♥️