রাত্রি নেমে এলে পাতারা নড়েচড়ে,
আমি তখন একটু একটু করে
ম্লান হতে থাকি।
কখনো দেখা হয়নি গোপন রোদন,
বুকের মাটি সরে গেছে
বহুদিন আগে।
হাতের আয়ুরেখা ভেঙে
আমি একলা হাঁটি!
খসে পড়া নক্ষত্রের ক্ষয়ে যাওয়া দেখি
আলপিন ঠুকে।
দীর্ঘবিরতির মধ্যদুপুরে হঠাৎ একটা
তরতাজা থানকুনির গা বেয়ে
গড়িয়ে পড়ে অনেকটা জল।
চোখের গোপন ভাষায়
কথার দল!
আমার মাটির ঘরে জানালা
ভেদ করে নগ্ন কবিতারা
ওড়ে হু হু করে —
বিরামহীন বিরামচিহ্ন রংহীন প্রজাপতির গায়ে !
আমি নভোযানের ভবিষ্যদ্বাণী করতে গিয়ে
তুমুল আন্দোলনের মুখে
অতঃপর —
পৃথিবী আবিষ্কারের কথা ভুলে যাই।