প্রিয় লাল শার্টটার রং চটে গেছে
তারে নিয়ে এনে বিছিয়ে দিয়েছি লাশের ভাগাড়ে
এবং আমি গুনছি কয়েকটা সঙ্গমরত মহিলা শকুনের ঠোঁট।
ওদিকে জেলখানার দেয়ালে
পোয়াতি নারীর পেট আঁকছে
ভ্রুণ হত্যা মামলার আসামি একজন হিজড়া!
আর আমি দেখছি একটা ফুল
যে কিনা একটা পোয়াতি লাশের খোঁপা থেকে
ফড়িংয়ের মতো উড়ে গেল
একটা বাচ্চা শকুনের মামুলি নিঃশ্বাসের হাওয়ায়।
লাশের ভাগাড়ে এককোণায় খালি গায়ে বসে আমি দেখছি
আমি দেখছি ফুলটা উড়ে উড়ে আমার দিকেই আসছে
আর আমি তা দেখছিই
দেখতে দেখতে ফুলের ডাটা বিঁধে গেল আমার মধ্যকপালে
দুই ভ্রুর ঠিক মাঝখানে।
দেখতে দেখতে আমি ট্যারা হয়ে গেলাম
ট্যারা হতে হতে আমার দুই চোখের আইরিশ উল্টে গেল
এখন আমি দেখতে পাচ্ছি টকটকে লাল মগজ আমার!
আমি দেখছি
ফুলের সবুজ ডাটাটা ধীরে ধীরে গেঁথে যাচ্ছে আমার মগজে
লাল হয়ে যাচ্ছে, গলে মগজ হয়ে যাচ্ছে
ফুলের লাল পাপড়িগুলাও মিইয়ে যাচ্ছে কেমন।
আর তারপর পুরা ফুলটাকেই খেয়ে ফেলল আমার মগজ
কিংবা আমাকেই ইচ্ছাকৃত ভুলে খেয়ে নিল সে ফুল!
এবার ধীরে ধীরে নড়তে শুরু করেছে
আমার মগজের সবক’টা নিউরন
আর আমি অবাক হয়ে দেখছি
এবং অনুভব করছি
কে যেন আমার পেট ঠুঁকরে মাংস খেতে শুরু করে দিয়েছে।
আমি ব্যাথা পাচ্ছিনা, কিন্তু টের পাচ্ছি, কিডনি শিরশির করছে
নিজেকে কেমন হালকা লাগছে
মনে হচ্ছে যেন প্রতি সেকেন্ডে এক পাউন্ড করে ওজন কমে যাচ্ছে আমার।
ব্যাথা অনুভবের একটা স্নায়ুকে আমি দেখতে পাচ্ছি
হুবহু আমার প্রিয় লাল শার্টের মতো লাল রঙের ‘অ’ হয়ে উঠেছে ওটা!
আর এভাবেই এক হাজার কোটি স্বায়ু মিলে
খুলির অভ্যন্তরে একটা মহাকাব্য লিখে ফেলল নিমেষেই
যার কেবল শেষ দুইটা লাইনই আমি পড়তে পারছি
“আমিই সেই কবিতা, যার জন্যে শূলে চড়িয়েছো সমস্ত ইহলোক
AND NOW YOU BITCH, CAN’T GET OUT FROM MY VEGINA!”
এবং এর পরপরই শুনতে পেলাম
একটা গায়েবী কণ্ঠস্বর আমায় ডাকতে শুরু করেছে
“পরলোকের সময় হয়েছে প্রিয়,
চামড়া লাল হয়ে যাওয়ার দরুণ
তোমার মাংস খেয়ে ফেলেছে ক্ষুধার্ত একজন পোয়াতি শকুন!”