কঙ্কালের বয়স নির্ণয় শেষে ভাত খেতে বোসলাম। সাই,ত্রিশ বছর হল আমি নেহারি খেতে পাচ্ছিনা,মা প্লেটে তুলে দিলেন এক পিস সেদ্ধ টারছাল এবং আমার মনে পড়ে গেল ওদিন এক বৃদ্ধাকে কিটকেট কিনে দিয়েছিলাম, যে কিনা গত জন্মে আমার পূর্বপুরুষের রক্ষিতা ছিল। তার ব্লাউজের পিঠে নাকি হাঁটাহাঁটি করত আমারই ফুটপ্রিন্ট!
আমার জুতোর সাইজ গুনতে গুনতে আমি হাড্ডি চিবোচ্ছি। ভাতের সাত হাজার দানা অবলীলায় তাকিয়ে আছে আমার দুই পাটি দাঁতে। এবং আমি ঘ্রাণ পাচ্ছি ধুতরাপাতার! এবং এই একইরকম ট্রপেন আলকা-লইডসের সুবাস পেয়েছিলাম সেই বৃদ্ধার ঘা তাড়িত জিভের তলায়!
আমি হাড্ডি চিবোচ্ছি, ক্যালসিয়াম বার করে আঙুলে মেখে চাটছি। এমত সময় বাথরুমের দরজা ঠেলে বেরিয়ে এল ওই কঙ্কাল! বিহব্বল আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম, ওর ডান পায়ের টারছাল কামড়াচ্ছে আমার মাড়ির রুটক্যানেল্ড চার দাঁত!