অর্জুন!
এখন সারাটাদিন সময় আছে তোমার সাথে কথা বলবার। অথচ কর্মব্যস্ততায় যে ৫/৭ কিংবা কোনোদিন ২০ মিনিট কথা হতো সবমিলিয়ে_
সেটায় ভালোবাসা যেন বেশিই ছিল!
অর্জুন!
সিরিয়াল দেখতে ইচ্ছে করছে না,
না ইচ্ছে করছে দেশের খবর জানতে।
জানো তো আমার যদি সাধ্য থাকতো আমার ব্যক্তিগত উড়োযানের পাইলট বানাতাম তোমায়।
আমি একটা কবিতার বই পড়ছিলাম।
হঠাৎ তোমার কল আসলো,
প্রেমভরা চোখ নিয়ে ফোনস্ক্রিনে তাকাতেই দেখি তুমি। কিন্তু এত কথা, কত কথা ………
একটা সময় বিরক্ত লেগে যাচ্ছে যেন দু’জনেরই।আমি যেমন কথা চাইছি তুমি তা চাইছো না।আর তুমি যে সুর চাইছো আমি তাতে গাইতে পারছি না। কিয়ৎক্ষণ বিবাদের পর কল রেখে এসব লিখছি।
ছোটবেলায় ভাব সম্প্রসারণে পড়েছিলাম না? অই যে ……” নদীর এপারে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস কহে ওপাড় কি সুন্দর…” না এরকম কি যেন?
আরে ইন্টারনেট সংযোগের অভাবে শুদ্ধ করে লিখতে পারলাম না। যাইহোক শাব্দিক অর্থ ছিল এরকম নদীর এই পাড় থেকে অইপাড় সুন্দর মনে হয় আর অইপাড় থেকে এপাড়।
জীবন বোধকরি এমনি অর্জুন?
বই পড়ার সময় পাইনা,
সময় পাইনা টিভি দেখার, কথা বলার,কিংবা ছবি আঁকার।কত আফসোস ছিল আমার…
অথচ আজ ঈশ্বর আমায় অনেক সময় দিয়েছেন, কিন্তু আমার কিচ্ছু ইচ্ছে করছে না। শুধু তোমাকে একটু দেখতে খুব ইচ্ছে করছে অর্জুন।আচ্ছা আগেকার দিনে যখন মনের মানুষের বাস হতো অনেক দূরে, কত কত দিন পর তাদের অভিসার হতো, আমরা তো ইচ্ছে হলেই ভিডিও কলে দেখে নিই ।
তুমি বলো তো আমায়_
কোনটা জীবন অর্জুন?
অজস্র সময়?
নাকি সহস্র কাজের মাঝে আমাদের একটুখানি প্রেম !