4/5 - (1 vote)

শ্রীহীন যৌবনোত্তীর্ণ বেশ্যা সদৃশ ফিকে কলঙ্কীনি বুড়িগঙ্গা ফেলে,
আমি যাচ্ছি; যাচ্ছি চলে।
যৌবনবতী পদ্মা- আমার মানজিল।
যেথায়,
ষোড়শী’র প্রথম ফরজ স্নানাদ্র কেশ ঝরা পানির ন্যায় লালশাকের গা বেয়ে ঝরে পড়ে শিশির কণা।

মিছেখোয়ানো নূপুরখানা হাতে—
মাঘী শীতের ভোরে,
কুয়াশার ওড়না মোড়ানো চরে,
নূপুর খোয়ানোর সেই মিছে গল্প মনে করে;
নগ্ন পায়ে,
সদ্য ঘুম ভাঙ্গা চরের ভেজা ঘাস মাড়িয়ে,
সুখসংসারী ঘাসফড়িং দল পাশ কাটিয়ে আমি যাচ্ছি; যাচ্ছি তীরে।

পদ্মা’র আন্দোলিত যৌবনের শিহরণ,
পানির ফ্রেমে সূর্যোদয়ের চিত্রাঙ্কন,
স্বচ্ছ পানির ত্বকে সূর্যরশ্মির প্রতিফলন-
আলোর ঝলকানিতে পলকে কম্পন।
ঢেউয়ের উল্লাসী শীৎকারের মূর্ছনা,
ফুসফুসে নিকোটিন বাতাসের তাড়না।

অস্থির চাহনি খুঁজে ফিরছে—
চরে নির্বাসিত জীবন ছিলো যার সেই পঙ্গু নৌকাটি।
যেথায়,
ভাঙ্গা পাটাতনে- আমরা নিরাপদ আসন পেতেছি।
যেথায়,
নূপুর’র শক্ত বাঁধন খুলে,
আপনার গুলফসন্ধি’র উপর অঙ্কিত নূপুর চিহ্নে- আমি অধর ছুঁয়েছি।
যেথায়,
দু’জনার শ্বাস মিলে এক হয়েছে।
যেথায়—

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments