আমাদেরই নীল আকাশের তলে যেখানে আমরা নেই; মরুর বুকে-
সোনোরানের ঊষর প্রান্তরে যসুয়া গাছের ডালে একটি কাঠঠোকরা আছে বসে;
পিপাসার যাতনায় আজ মেলতে পারেনি ডানা।
— কেউ তা জানেনা
গঙ্গা, টাইগ্রিস, নীল, হোয়াংহো, মধুমতী, টেমজ, মিসিসিপি, ইউফ্রেটিস, অ্যামাজন, রাইন, লাচলান নাকি চিত্রা কোনটি!
কোন নদীটির কোন পাড়ে, কোন বা গাছের ছায়ায়, কোন বেলায় কে বা রচে মন খারাপের কথাহীন কাব্য!
— কেউ তা জানেনা
চুলের অবাধ্যতা দমাতে না পেরে হাসছে, গজদন্তিনী হাসছে;
আর তার এই অকস্মিক আবির্ভাবে-
শীতের ফাটা ঠোঁটের লজ্জা আড়ালে তৎপর হয়েছে তরুণ,
দাতের সুনিপুণতায় ঠোঁটের বদলে যাওয়া কটু রুপ মুছে ফেলছে;
ছন্নছাড়া তরুণের খামখেয়ালীপনার রুটিনের ব্যত্যয় ঘটলো আজ
—কেউ তা জানেনা।
কত শব্দ! কত কত শব্দ!
মিছিল, চিৎকার, আর্তনাদ, উল্লাস, গালাগালি, শপথ, আহাজারি,
পার্থনা, কুচকাওয়াজ-
আমরা শব্দ-মহাসাগরে যেন কোনো।
তারই মাঝে একটি মন ভাঙ্গা দীর্ঘশ্বাসের শব্দ?
সেতো জলে শৈবালের গা বেয়ে পড়া এক বিন্দু শিশির সম;
‘প্রভুভক্ত চতুষ্পদী’ আমাদের আদুরে,
আমরা তাড়িয়ে দেই- ফিরে যায়না তাই;
আমাদেরও তাড়িয়ে গেছে, গেছে চলে।
আমরা তবু্ও ফিরে আসিনি আজও;
আমাদের নখতলে সুঁচ বিঁধে যায় কতবার
— কেউ তা জানেনা