5/5 - (1 vote)

চঞ্চল শিশুর হাতে থাকা কাঁচের গ্লাসের মতো নিরাপদ ছিলো আমার মনটা।
যত্রতত্র দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে থাকা টিস্যু, কাগজগুলো আমি অনেক সময় নিয়ে দেখি।
বিশ্বাস হয়?- ওসব ওরা হয়ে কথা বলে
অব্যাবহৃত ওরা কতো সযত্নে ছিলো সেই কথা।
মূলত, প্রধানত, সাধারণত ইত্যাদি’র একটি যোগে ভুল ব্যাকরণে আমাদের- যাবতীয় কথোপকথনকে লৈখিক রুপ দিতে বসে কিংকর্তব্যবিমূঢ়,
আমার শব্দ সব ফুরিয়ে যাচ্ছে ক্রমশই;
ফুসফুস বিষাক্ত ধোঁয়ায় মিলিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে,
হারাচ্ছে ধীরে-ধীরে, আরো ধীরে-
যতটা ধীরে শ্রেয়া টিপকপালে আয়না দেখে;
যতটা ধীরে শ্রেয়া চোখে কাজল মাখে,
কাজলের কালো রঙ ধোঁয়া হয়ে মিশে গেলো আমার চোখে।
সব কালো, ঘুটঘুটে আঁধার-
আঁধারের আবডালে শ্রেয়া। শ্রেয়ার-
পানিঝরানো চুল,
পাথরের নাকফুল
অস্থির কাঠদুল
কানে গুজা ফুল।
এমন যত শিশুছন্দ- শ্রেয়ার অপছন্দ।
কটুক্তিতে- ছড়া আখ্যান; বিদ্রুপাত্মক হাসি,
প্রতিধ্বনিত হাসি- কাচের কণা পিষ্ট হবার প্রতিধ্বনি।
শ্রেয়াকে শেষ দেখা চোখজোড়া কেন হারালো না দৃষ্টিশক্তি!

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments