লোকের পদতলে পিষ্ট এই ফুলটি আমি।সেই ফুলটি,
প্রভাতে যাকে দর্শনমাত্র আপনার চঞ্চল আখিঁর চাহনি স্থির না থেকে পারেনি,
অভিভূত করেছে আপনাকে যার সুবাস,
ভুবনমোহিনী হাসি হেসে কুড়িয়ে খোপায় বেধেছিলেন যাকে;
সারাটা বেলা আপনার কেশরাশি সৌরভিত করেছি;
আমার সুরভী মেখে,আমায় সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে ধারণ করে সুন্দরী রুপসী ইত্যাদি বিশেষণ তুচ্ছ করে আপনি হয়ে উঠেছিলেন অনন্যা
ধীরে ধীরে যখন হারিয়ে যায় আমার সুবাস, সৌন্দর্যের গায়ে লাগে কদর্যের অপবাদ;
তখন নির্দ্বিধায় ছুড়ে ফেললেন? এই কি সেই হাত!
যার আলতো ছোয়াঁর পরম মমতায় কুড়িয়েছেলিনেন আমায়? এই আপনি আর প্রভাতে যে ছিলো দুজনায় যে বিস্তর ফারাক!
সারাবেলা যেই আমার স্থান ছিলো অনন্যার কেশে,
সোনামাখা পড়ন্ত বিকেলে সেই আমায় মাড়িয়ে যাচ্ছে শত শত পায়ের নোংরা জুতা।
আজ প্রভাতে আপনি যে ফুলটি কুড়িয়ে সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে খোপায় বেঁধে অনন্যা হয়েছেন;
কাল প্রভাতে ঝাড়ুদারের ঝাড়ু তাকে আর্বজনা হিসেবে কুড়িয়ে ডাস্টবিনে ফেলবে।
ডাস্টবিনের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে যদি আমায় দেখেন! আবার কুড়িয়ে খোপায় বাঁধবেন?
জানি কখনো না। উৎকট গন্ধ থেকে বাঁচতে নিঃশ্বাস বন্ধ রাখবেন খানিক, দ্রুত পায়ে হেঁটে চলে যাবেন।
কেননা ডাস্টবিনে পড়ে থাকা আমার তো সৌরভ নেই। সৌন্দর্যের প্রতীক ছিলেম যে আমি সে তো তখন কেবলই ময়লার স্তূপে জমে থাকা আবর্জনা