আজও একটি পড়ন্ত
বিকেলের প্রতীক্ষা করি;
অজস্র প্রহরের কোলে।
কোনো এক সূর্যাস্তে সমুদ্রতীরে
তুমি সৌরভ ছড়িয়ে পাশাপাশি
মুখোমুখি এসে বসবে!
যেখানে কয়েকটি নারকেলগাছ
ঠায় দাঁড়িয়ে রবে।
পশ্চিম দিগন্তে সূর্য ধীরে ধীরে
অস্তমিত হবে।
উচ্ছ্বাসে সমুদ্রের ঢেউ হয়ে যাবে সফেন।
সেখানে সামুদ্রিক তিমি,
অসংখ্য হাঙ্গর ও জলজ প্রাণী তাদের আনন্দদায়ক বার্তা জানাবে জলের কলকল ধ্বনি প্রকাশ করে।
দু-একটা শঙ্খচিল নীড়ে ফিরতে প্রচণ্ড তাড়া দেখাবে।
তবুও তোমার কোনো তাড়া থাকবে না- সব পাখিরা ঘরে ফিরে গেলেও।
যেখানে গোধূলিসন্ধির নৃত্য হবে, শীতল বাতাস শোঁ শোঁ শব্দে বয়ে বেড়াবে। যেখানে থাকবে না কোনো নিকোটিনের ধোঁয়া – নাগরিক কোলাহল, ট্রেনের, বাসের লম্বা হুঁইসেল।
মৌনতা আর নীবরতা চারিপাশ ঘিরে রবে। তুমি বলবে জীবনের সমস্ত না বলা কথাগুলো আমার চোখে তোমার চোখ রেখে। আমি কৌতুহলভরে সেসব কথা শুনব। ফিরে যাব হারানো পুরনো দিনগুলোতে….. অতীতের স্মৃতিরপাতা
উন্মোচিত হবে।
দূর দিগন্তে আনমনে চেয়ে থেকে দু-চোখেরকোণে
মনের অজান্তেই জলে এসে যাবে….