আগন্তুকের মুখোশে এতো চৌচির তুমি কে হে রোদের রমণী
চোখের উত্তাপে খরার খুনসুটি—ঠোঁটে পিপিলিকাদের প্রেম
কে হে সর্বহারা সুধাময়ী—চুলে বেঁধেছো সূর্যের অনার্য শিকার
সর্বগ্রাসী মায়ার দ্বৈরথে এক দুপুর উড়ে যাচ্ছে ঘুঙুরের ঘ্রাণে
দরোজায় সুষম স্মৃতির হাহাকার—নিঃশব্দে নাম ধরে ডাকো
আহত আয়নায় এত মন পুড়ছে কেনো দহনে দলিত রোদ
নৈরাশ্যের নগরে পায়ে বুনেছো সূর্যলতা—আগুনের অলঙ্কার
বুকের পাটাতনে নেচে ওঠো বিনাশের পা—বিচ্ছেদের বিরাণ
কে হে শরণার্থী শ্বাসমূল—সূর্যের চক্রব্যুহে হারিয়েছো চিবুক
কোথায় রেখেছো পরাজিত পায়ের ছাপ আঙুলের রক্তরঙ
শূণ্যতার শ্মশানে পুড়ছো একাকী—ও মেঘ একটু সরে দাঁড়াও
ছাইভষ্মে উড়ে যাক অন্ধের বেদনা—ঝরে যাক মাটির ফুল
নিহত নগ্নকালে ডেকেই যাচ্ছো—কে হে আগুনের আশ্রম
পথে ছড়িয়েছো পথের স্মৃতি বিভ্রান্ত আকাশের আয়ুষ্কাল
হন্তারকের ছায়ায় তুমিও এক বাজিকর—কে হে অচিন সুন্দর
ধ্রুপদী জলের অতলে কেনো খুঁজে ফেরো এক প্রাচীন সমুদ্র