নির্জন আর্তনাদে ভীষণ অস্থির তোমার দস্যু যুগলচরণ
বৈরাগ্য ভোরে হুলস্থুল—সূর্যের ছায়ায় উড়াও পাখিদের প্রাণ
পায়ে পোড়ে বিগত দুপুর— ধীরে চলো বসন্তের লালঝুটি
আমার চোখ জ্বলে—বুকের ভেতর ধুলো ওড়ে
চোখের খরায় পুতুলের সাজঘর—বৈষ্ণবী বিকেল
কোথায় যাও জলের ঘুঙুর এতো সন্তর্পনে সূর্যালোকে
কোথায় যাও দূর লোকালয়ে—বিষের নুপূর—পায়ের অঙ্গুরী
শিমুল কাঁটায় বিদ্ধ সন্ধ্যার সারথী—সংক্রান্তির সমর্পন
পায়ে গেঁথেছো ঝিনুকের ঝালর—পথ হারানো পথের বিশ্বাস
শাশ্বত জোনাকির ভীড়ে হারানো সূর্য তোমার কপালে নির্ঘুম
গ্রীবায় ঝড়ের পালক—কেনো ভয় আঁধারে অন্তরীন সমুদ্র
কেনো ভয় যদি পায়ের কাছে ন্যুয়ে থাকে সন্ন্যাসী সারস
নিষ্কৃতির অধরে আমিতো জলকাতর—অন্তপ্রাণ আলোকধ্যান
অন্তরালে অনাদি মুখোশে তুমি ঘুমিয়েছো বিস্মৃতির বিছানায়
হন্তারকের হৃদয়ে উড়াও পরাগ পাখি—কালসাপের ঘুড়ি
আমার চোখ জ্বলে—বুকের ভেতর ধুলো ওড়ে
বাহ, কি অকপটে লিখে ফেলা কথা গুলো, হিমাদ্রি!