শরীর বেয়ে নেমে যাচ্ছে এই রাশি রাশি বিপন্ন বিষাদ
যতবার চিল হতে চেয়েছি ততবার খুলে দিয়েছো দরোজা
বাইরে তাকিয়ে দেখি আমার আকাশ নেই—জলধারা নেই
আকাশে পশ্চিমা মেঘের গর্জন—সমুদ্রে সামরিক আগ্রাসন
অঙ্কুরিত বীজের কসম ঘোর কেটে যাবে—কেটে যাবেই
আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠবে এই দাউদাউ কলোরব
পুঁজির মাংসে চোখের ভেতরে জন্মেছে এক ধর্মডাকাত
সরকারি সুদের খাতায় রাষ্ট্রপুঞ্জে লুটপাট সনাতনী সম্বল
গতকাল যে ষাঁড় অকাতরে ঘুমিয়েছে নিরীহ গোয়াল ঘরে
সামরিক শিং নিয়ে আজ সে তেড়ে আসছে বিক্ষুদ্ধ মিছিলে
নির্জন শোকের ভেতরে দেখি এ কোন হাঙ্গরের হাসি
নেকড়েদের নৃত্যে এ কোন প্রেতের শহরে বেঁচে আছি
শিরায় শিরায় ভীষণ শ্বাপদের হুঙ্কার—হৃদয়ের ব্যাভিচার
রাজাকারের বীর্যপ্রেম ধারণ করে এই পৈশাচিক উৎসব
মাতৃভূমিতে এসেছে আজ কালো,ডানার পশ্চিমের শকুন
কাঁদো হে মর্মরিত মোহের কাঙাল—বেদনার্ত বোহেমিয়ান