বিশ্বাস যখন কালের বিবর্তনে রূপান্তরিত হয়,
সময় যখন গভীর সমুদ্রের অতলগহ্বরে ডুবিয়ে দেয় আমাদের,
তখন ম্যাটেরিয়ালিস্টিক দুনিয়ার প্রচলিত আলো ক্ষীণ হয়ে আসে।
আমি ডুবে যাই সেই সমুদ্রের অতলে,
যেভাবে শূন্যে মিলিয়ে যেতে দেখি বাস্তবতা কিংবা পরাবাস্তবতা।
পরম শূন্যতার বিস্তার যেন স্ফিংক্সের মতো সত্য নিমিষে বিলীন করে দেয়,
জানি আলোর দিন শেষ, অন্ধকার নিশ্চিত নামবেই
চেনা দুঃখের প্রাচীন বেড়াজাল ছিঁড়ে,
শূন্যতা বিস্তৃত হয়, খোলা চোখে দেখি পরাবাস্তবতা
চারপাশে স্বপ্নের জগৎ, বাস্তবতা মিলিয়ে যায়,
শূন্যতা বিস্তৃত হয়, আমি নিজেকে ছাড়িয়ে যাই,
দেখি খোলা চোখে স্বপ্ন,
চারপাশে ধোঁয়া আর অপার্থিব জগৎ
শূন্যতা মন, মনই শূন্যতা,
ইচ্ছার অনুপস্থিতিই ইচ্ছার উপস্থিতি, সর্বগ্রাসী এক ব্যাপার।
উন্মত্ততার পর্দার আড়াল থেকে একটা পরিচিত কণ্ঠস্বর বলে, “আমি কী?”
জানি আমি পড়ে যাচ্ছি, অসুস্থ শেকড় ছড়িয়ে পড়ছে আরো গভীরে,
কারণ আমাদের আশীর্বাদ করে প্রকৃতি,
আমি অনুভব করি আমার হাতে-পায়ে শিকল,
শিকল ভাঙতে থাকে
আমি কান পেত রই,শুনতে পাই,
“নীরব স্বর গ্রহণ করো, নীরবতার ভাষা শেখো”
আমি বলি,
চেতনার শিখা, জ্ঞানের শিখা, আমার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত করো,
আমার আত্মাকে পূর্ণ কর।
আমার পথ আলোকিত করো, প্রতিটি পদক্ষেপ আলোকিত করো,
সত্ত্বার পাহাড়ে, বাস্তবতার গভীরতায়,
আমাকে আত্মসমর্পণের শক্তি দাও, যা আমাদের চিরকাল ছিলো
আমায় পূর্ণ করো।