একটা বিষন্ন রাতের শহরে যখন নাগরিক কোলাহল থেমে যায়,তখন কেউ কেউ জানালা খুলে রাতের ভয়াবহ নিস্তব্ধতা উপভোগ করে।
বহুতল ভবনের কয়েকটি রুমে আলো জ্বলে ওঠে , আলো আধারের প্রাচীনতম সম্পর্ক,যেখানে অবয়বেরা এলোমেলো ভাবে ঘুমন্ত শহরকে দেখে।
আসলে তাদের উদ্দেশ্য মূলত কোলাহল , কারণ নিস্তব্ধতা বিষন্নতার প্রতীক।
শহুরে সকালে পাখিদের কথা শোনার সৌভাগ্য সকলের জোটে না কিংবা খাচায় আবদ্ধ জীবনে পাখির ডাক বলতে যান্ত্রিক অ্যালার্ম ই বন্দিদশা।
রঙিন কাচে যখন ভোরের আলো পড়ে তা কি অদ্ভুত হলদে,যেন কেউ এ শহর কে হলদেটে মাখনরঙা চাদরে ঢেকে দিতে চাইছে ,তবে বিধিবাম
শহর জেগে ওঠে!
নিশাচরদের কেউ কেউ ভোরের আলোয় বুকভরা বাতাস টেনে ঘুমুতে যায় আবার কেউ বেরিয়ে পড়ে যান্ত্রিক জীবনে।
কেউ আবার অগভীর আবেগে,জানালায় তাকিয়ে
অসমাপ্ত সমীরণ কেন সমীকরণ হয়ে যায় তা ভাবে।
যখন বুড়ো গাছটার সবপাতা শীতে ঝড়ে গিয়েছে তখন এই বসন্তের পরও কেন তাতে নতুন পাতা ধরে না?
হয়তো শব্দের জড়তায় মানুষ বোবা কবিতা হয়ে বিষন্ন নেক্রপলিসে হারিয়ে যায়,রোদচশমা চোখে পড়ে থাকায় বেমালুম বিষন্নতা বেনসনে পুড়ে যায়।