ধরো তুমি এক সন্ধ্যায় খুব বিষণ্ণ বোধ করছো
মানুষদের স্বতঃস্ফূর্ত মনের যোগাযোগের যে খোরাক বেঁচে থাকে
তা সন্ধ্যে তারার মতন জ্বলজ্বল করতে থাকবে তোমার চোখে
তাকে নিবারণের জন্য তুমি বেড়িয়ে পরতে পারো রাস্তায়।
সারা ঢাকা শহর তুমি চষে বেড়াতে পারো
তুমি তোমার ঘর থেকে বেড়িয়ে হাঁটতে পারো শ্যামলীর দিকে
শ্যাম বর্ণের চিত্রশিল্পী যে মেয়েটি তোমাকে শেষবার চুমু খেয়েছিল শ্যামলী ওভারব্রিজের কাছে, সেখানে এক কাপ চা আর একটা সিগারেট টেনে
তুমি হেঁটে যেতে থাকবে নীলক্ষেতের দিকে।
ধানমন্ডির উত্তাল অতীত তুমি এড়িয়ে যেতে যেতে
সিগন্যাল পেরিয়ে ঠিক পৌঁছে যাবে কাঁটাবনে।
খাঁচাবন্দী একদল পাখিদের সাথে তুমি জুড়ে দিতে পারো স্বাধীনতা আর অধিকারের এক বৈপ্লবিক আলাপ। কিন্তু তুমি তোমার স্মৃতিকে ফাঁকি দিতে পারবে কি!
এরপর পুরাণের পথ ধরে সোজা চলে যাবে আজিজ সুপার মার্কেটে।
একটা উভচর প্রাণীর মতন বই এর দোকানে একটু ডুব দিয়ে তুমি বেড়িয়ে পরবে
হাঁটতে হাঁটতে তুমি পৌঁছে যাবে বেইলি রোডে।
তুমি হয়তো ক্লান্ত তখন
ঢুকে পরবে প্রেমিক জুসবারে।
এক মেঘলা সন্ধ্যায় তুমি ভুল করে যে ছাতাটি ফেলে এসেছিলে
সে কোথায় এখন?
তোমার সময় খুব কম
বসবার উত্তেজনা উপেক্ষা করে
তুমি আবার বেড়িয়ে পরবে।
হাঁটতে হাঁটতে তুমি চলে আসবে রামপুরা ব্রিজের কাছে
যেখানে তোমার শেষবার সেই মেয়েটির সাথে দেখা হয়েছিল
যে বলেছিল সে তোমাকে ভালোবাসে।
না, এখনো তোমার পথ শেষ হয়নি।
তুমি পায়ে হেঁটে ডানে যেতে থাকবে শহরের শেষ প্রান্তে
যেখানে তুমি আবিষ্কার করেছিলেঃ
মানুষেরা কেন এঁকেছিল প্রকাণ্ড বাইসন আলতামিরার গুহায়?
কেন কোন কিছু না বলার পরেও অনেক কথা বলা হয়ে যায়?
কেন কোন অক্ষর বর্ণ শব্দ ছাড়া মনের মধ্যে জেগে ওঠে অমন ভাষা?
যার মানে শুধু সে জানবে
অথচ তার সার্বজনীনতা পৌঁছে যাবে সকলের হাতে।
2022-08-24