গাছের শরীরে ঝুলে আছি নিচু ডালে,
দৈনন্দিন সবুজ আলো কখনো গভীরে
আসে না। সচেতন অন্ধকার আমাদের
নিরাপদ ভূষণ, তোষণ করি তবু বৃক্ষের।
ঝরনার মতো ঢল অই মগডালে
শক্ত পাথরে আঁছড়ে আমার শরীরে আসে
হলুদ রোদ—ছিটেয় ফোঁটায় লাগে।
আয়ুর বিনিময়ে তাও পেয়েছিলাম
সুপুষ্ট সবুজ গতর, তারে দোলা দিলো হাওয়া
ছুঁয়ে যায় ঋতু, বর্ষ, কীর্তি-ধ্বংস।
বিষাক্ত প্রাণীর মতো একাই করেছি যাপন
অথচ যেটুকু হবার কথা সরেস
নই তার কিছু কম; মৌয়ালেরা তবু শুঁকেনি।
সমুদ্র গভীর তলে ডুবুরিরা উপরে তাকিয়ে শুধু
দিবালোকের কূয়োর দড়ি বইতে চেয়েছে
অমরত্ব ফেলে, গাঢ় রহস্য ফেলে চারপাশের
মরণশীলতাকেই মুক্তি ভেবেছে সে।
হলুদ দূতের তাড়ায় আমিও ক্রমে গেছি পেকে
রসাল বুনো গন্ধে না জানি কোন পাখি এসে
ঠুকরে দিয়ে যাবে; ছাড়পত্র পাবার আগেই
অন্তিমতার দুয়ারে অপেক্ষার প্রহর মাপতে
হবে আরো কিছুকাল। সবচেয়ে নিচু ডালে
তবু কেউ এসে ছোঁবে না, নিবে না,
পরম ভাগ্য বলে কেউ হয়তো ঝাঁকড়া
নিউটনের কোলে স্থান করেছিলো।
প্রিয়দর্শিনীর স্থাবর সম্পত্তি হয়েও
তার পেলব হাতের আদর পাবো না কখনো
আকাশচুম্বী মই, তারা দলবল নিয়ে আসে।
2021-09-26