০১
আমি তাকিয়ে দেখেছি চিৎকার করে
কারা যেন ডাক দেয়
ওরা নিজের হাতে নিজের পিতার মগজ খুবলে খায়!
ওরা নিজের শিশ্নে নিজের বোনের সম্ভ্রম করে হানি
ঐ লুটেরার দল নিজের ঘরেই চালায় রাহাজানি!
ধর্ষক ওরা কাপুরষ হয়; বিদ্যার নেই বালাই
ওরা লড়াইয়ের মাঠে ভুঁড়িফোড় করে খুন করে নিজভাই!
কেউকেউ তো বিশাল বড় স্বাধীনতার স্তাবক —
আজো পলিটিকসের ঝান্ডাধারী সব শালা প্রতারক।
কেউ আমৃত্যু এই পৃথিবীশালায় মদের বোতল হাতে;
কেউ কাঁপে বসে ভিষণ শীতে কারো সংগ্রাম খাটে!
কারো কারো সাথী সুন্দরী আর কারো সাথী খাটে পতিতা—
কেউ প্রেমিকা রাখে বউয়ের পাশে— বেশ্যার ব্রা’তে সততা।
আমরা শালা কবিতা লিখে ছিড়ে নিয়ে যাব তাগো কান;
আজি বসন্তে দরাজ কণ্ঠে — ক্ষাণকি পারার গান।
০২
আজ অন্ধ করো প্রভূ আমাকে বন্ধ করো কান
আজি বসন্তে শুনবো না কোন খুন -খারাবির গান।
মস্তক করেছি নত আর এই হাত দুটো করেছি জড়ো—
এই বিশাল জুয়ার বোর্ডে তোমার যা মনেচায় করো।
খোদা দয়াবান যখন যা তার মনেচায় তাই করে
কারো ভাগ্যে রয়্যাল ইনফিল্ড কারো ভাত নাই ঘরে
কেউ পারেনা বোনের গায়েই কাপড় জড়িয়ে দিতে
কেউ গরমের দেশে হাওয়া বদলে কারো মেয়ে কাঁপে শীতে
আজ হতে ধরো অযুত কিংবা লক্ষ বছর পরে;
কেউ কি থাকবে পূজো দিতে আর বেইনসাফের ঘরে?
০৩
দুমুঠো ভাত দাওনি প্রভূ পেতে চাও তবু এবাদত —
শোনো ভরাপেট হলেই পূজো দিতে বসি আমি সেই মুরতাদ!
আমিই তো সেই খামখেয়ালি নমশূদ্রের জাত
সব ব্রাহ্মণকে পদদলিত করে তার ঘরে খেয়েছি ভাত।
আমিই তো সেই কৃষ্ণবর্ণ জর্জ ফ্লয়েডের ভাই
সাদা চামড়ার মানুষগুলোকে মানুষ বানাতে চাই।
আমায় তুমি কখনো পাবে গীর্জা কখনো প্যাগোডা —
মন্দিরে আমি খুঁজে যাই রোজ মুসলমানের খোদা।
ইসরায়েলের কামানের তলে ফিলিস্তিনি হয়ে ;
যত মার আর বুটের লাথি মুখ বুজে যাই সয়ে।
আমাকে তুমি খুঁজে পাবে ভাই পতিতাদের কোটরে —
দৃঢ় শিশ্নের অধিকার খুঁজতে সেখানে রয়েছি পরে।
০৪
কি এক শালা জীবন তোমার
সর্প আসে তেড়ে
ক্ষুধার জ্বালা বুঝবেনা কোন
আলবাল সরকারে
আজ লাশ ফেলি সব জোড়া জোড়া
আর লাশ হয়ে যাই নিজে
জানি ক্ষুধা পেটে সব খুন খারাবী
খেতে মজা লাগে কি যে!
কি যে মজা লাগে মদের গেলাশ
চুমুকেই করি গ্রাস—
আজি নিজেই আমি নিজের দেহ
ধর্ষণ করি ত্রাস।