সূর্যকে বন্দী করে রাখা হয়েছে রক্তিম চোখের আকাশে তবুও অন্ধকারে বিলুপ্ত হচ্ছে অস্তিত্ব
বিষন্নতার মহাপ্লাবন রক্তস্রোত বাড়িয়ে বিমূর্ত দেহকে আগমনী বার্তা পাঠায়
অতীতের হিংস্র আঘাতে ধ্বসে পড়ে বোহেমিয়ান পর্বত—
আদিম শব একপাশে জমিয়ে রেখেছিলো উষ্ণ প্রেম।
শেকলছেড়া দাবানলে মস্তিষ্ক পরিণত হয় ধ্বংসস্তুপে —
পূর্বজন্মে প্রেমিকরা যার নাম দিয়েছিলো নিঃসঙ্গতা ।
আততায়ী চোখে জিজ্ঞাসা নেই
কুর্নিশহীন কন্ঠে উচ্চারিত হয় বর্বরতা দেখিয়ো না মৃত্যুফাদ—
গ্যাসোলিনের আগ্রাসনের মতো পৃথিবীর সকল যন্ত্রণাকে গিলে খাচ্ছি—
আমাকে অভ্যর্থিত করো।
জন্মের পর কখনো হোচট খেয়ে কপাল কেটেছে কিংবা ভেঙেছে মেরুদন্ড—
তবু শিরদাড়া উঁচু করে এতটা পথ হেটেছি;
আজ সহজেই রাক্ষুসে চাবুক আমায় কাটবে বোলে কাতরাবো?
মদের গ্লাসে বিষপান কোরে কাটায় যে সাপ—
শিরায় হেমলক মিশবে ভেবে নিষ্ফল আবেদন করবে
হে ধর্মাবতার আমাকে মুক্ত করুন পৌরাণিক শাস্তি থেকে!
মনে হয় বিপ্লবীদের সাথে হাস্যকৌতুক ব্যতীত আপনাদের করবার যোগ্য কাজ নেই
মার্সি পিটিশন অনেকটা মঞ্চনাটক
অতএব আমাকে হত্যা করুন সবচেয়ে নিকৃষ্টতম পন্থায় এমনভাবে
যেনো হায়েনারা দেখতেই ভয়ে পালিয়ে যায়।
আমার জ্বিভ প্রতিপক্ষ ভেবে আপনাকে প্রতিবার গালি দিয়ে যাবে সভ্যতার অন্ধ প্রেত।