সভ্যতার ক্রীতদাস হয়ে জন্মেছি বলে অনুতাপ কোরবার অধিকার নেই
পৃথিবীটাকে পাপের শস্যক্ষেত্র মনে হয়—
যেখানে আমার বোনদের প্রতিনিয়ত ছিড়ে খাচ্ছে হিংস্র নখর।
তারা বাধ্য হয়ে নিজেকে উৎসর্গ করছে কৃত্রিম নরকে
বেছে নিচ্ছে মৃত্যুপথ কিংবা অখ্যাত শহুরে ব্রোথেল—
সামাজিক চোখ তাদের দেখতেই নাক ছিটকে গালি দেয়।
পারিজাতের মেয়ে বলো কোন নিরাপত্তার গীতিকা তোমায় শোনাবো?
ছোট্ট শিশুকে ধরে নিয়ে তারা ঝুলিয়ে দিলো কাটাতারের দেয়ালে—
পরাধীনতার শিকল কিন্তু এখনো মুক্তি দেয় নি আমাদের।
নষ্ট রক্তে বিদ্রোহের আগুন জ্বলবে কবে?
প্রতিদিন বাবা আর ভাইয়ের বুকের সীমা ভেদ করে যাচ্ছে শত্রুপক্ষের বুলেট—
ফেনকি দিয়ে বেরোচ্ছে রক্ত অথচ কোনো ইতিহাস লিখা হয় না
দাগ শুকোনোর পূর্বেই সৃষ্টি হয় নতুন ক্ষত।
দিনমজুর রহমত মিয়ার ঝুলন্ত দেহ সিলিং থেকে নামানোর সময় অনেকটা নির্ভার মনে হয়েছিলো—
আটজনের সাংসারিক বোঝার থেকে দ্রব্যমূল্যের বোঝা বহন অধিক কষ্টকর
অতএব মুক্তির প্রতীক হওয়া শ্রেয়তর ভেবে পা বাড়ায় মহাকালের পথে।
রাষ্ট্র শুধু নির্লজ্জতার সাথে সমাচারপত্র পাঠ করে কিংবা উদগীরণ করে
নোটের হিসেবে সাংবিধানিক মানপত্র।
নষ্ট রক্তে বিদ্রোহের আগুন কি আদৌ জ্বলে…