নিহিলিজমের বিশদ বর্ণনায় ওরা আবিষ্কার করে নিজেকে
যখন অন্ধকারে একটি নক্ষত্র মিটিমিটি হাসে—
ভেবে নিও তিমির এই মহাজগতে
বিশুদ্ধ কোনো আত্না যুদ্ধ কোরে যাচ্ছে মহামারী ঘৃণার বিপক্ষে।
শহরগুলোতে অদৃশ্য বোধ হয়ে জন্মাবার পর ভয়ংকর সব অস্ত্রদের
কালো যুগকে মুষ্টিবদ্ধ কোরতে চায়—যেনো বারুদের বর্বরতা গ্রাস না করে
মায়ের বুকে ঘুমিয়ে থাকা ছোট্ট শিশুটিকে।
নিশাচর আত্নারা উন্মাদ হৃদয়ের কোথায় খুঁজে পায় না সৃষ্টির রহস্য—
নরকের পেয়ালায় আস্বাদন করে বিনিদ্রার শরাব
শিরদাঁড়া উঁচু করে প্রতিহত করে সৎকারের ব্যর্থ শোক।
হিংস্রতা দূর করে হৃদয়ে সৃষ্টি হওয়া চিরায়ত প্রেমের ঐশ্বর্য
সব সৃষ্টির প্রতি প্রকাশিত হয় শরতের কাশফুলের ন্যায়।
যুদ্ধাহত কমরেড ভালোবেসেছে কোনো এক নিপুণ ষোড়শীকে—
যার ওষ্ঠাগত চুম্বন আততায়ী হয়ে আঘাত করেছে হৃদয়কপাটে।
স্মরণ করি তাকে—মৃত্যুর স্বীকৃতি চেয়ে অপেক্ষা করেছি কয়েকযুগ
হেমলকের নামে পান করি বিষাদের গোপন অসুখ
বেড়িয়ে যাক নীল দীর্ঘশ্বাসময় জীবন।
নিঃশব্দে বুকে বারুদ চেপে হেটে যাই অধিকারের পথে—
আগুনের টুপি মাথায় মাফিয়ারা আমার পিঠে ভেঙেছে দেড় হাজার রক্তমশাল।
গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা দ্যাখো—অট্টহাসিতে মেতে উঠে আইন বিরুদ্ধ সংলাপে।
কুরাইশের আবাবিল নিয়ে শহরজুড়ে ছড়িয়ে এসেছি বিপ্লবের আগুন।
খুব সম্ভবত মাঝরাতে মাতাল জুয়ারিও তোমাদের শোনাতে পারে বিপ্লবের গান।