চৈত্রের মাঝ দুপুর
পুরোনো দীঘির পাড়
ধবধবে দুধসাদা মাটি
ঝিলিমিলি বাঁশপাতায়
মিলিয়ে যাওয়া বাতাস
হালকা সুরে দূরে কোথাও বাজছে বাঁশি
এমন অমোঘ সময়ে সেথায় বসে আছে সবে বসন্তে পা দেওয়া একটি মেয়ে।
যৌবনের বৃন্ত থেকে একটি দিন এখানেই কাটাবে সে,
স্থির করেছে।
হঠাৎই তার সাহসী হয়ে ওঠা
বয়সের দোষ বুঝি এই, মানে না বারণ।
ভাবেনা সে তারপর কি আছে…
পৃথিবীর কত রং দেখা আছে বাকি
নব উচ্ছ্বাসে পাগল পারা তার হৃদয়
মিঠে বুলিতে আবিষ্ট হয়ে
সর্বস্ব নিয়ে অপেক্ষায়।
ঠা ঠা দুপুরে নিজের নামের ডাক শোনার তীব্র আকুলি নিয়ে অপেক্ষায় ।
বোঝেনা সে রংহীন পৃথিবীও আছে পৃথিবীতে
বোঝেনা সে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া সদ্য যৌবন
ভাসবে পুরোনো দীঘির স্তব্ধ জলে ।।