সমুদ্রের কোলঘেঁষে দাড়াতে গিয়ে ও থেমে গ্যাছি বহুবার।
সঞ্চিত সাহসের সিকিভাগ খরচায়
অনায়েসে ঝাপিয়ে পড়া যেতো।
তবু ক্লান্তির পোষা পায়রারুপে রাতের কাছে ফেরার নিত্য শিডিউলে ফিরেছি।
কখনোবা আস্তরণে আবিষ্কার করেছি জমাটবদ্ধ হাহাকারের ধকল লেপটে আছে স্রোতেদের পিঠে,
অথচ অনিচ্ছাসত্ত্বেও তাদের ফিরে যেতে হচ্ছে সমুদ্রে,
সৈকতে একটু বিশ্রামকোলের অভাবে।
স্রোতেদের বিশ্রামায়িত করা তো শেখেনি মানুশ, বরং মানুশের ক্লান্তি শুষে দেবার ভারে ক্রমাগত
লবণ প্রসব করে ক্ষয়ে যাচ্ছে স্রোতেরা।
আমি সমুদ্রের অনতিদূর থেকে ফিরে এসেছি।
ভেবেছি, আমার চামড়া ছুলে হৃদয়ের বিদঘুটে ক্লান্তির কুৎসিত গন্ধ্যে স্রোতেরা তলিয়ে যাবে নরকে।
তারপর,মাছেদের মৃত্যুমিছিলে মেঘনা জেলের কপালে হাত,
শোকে ক্ষতবিক্ষত জেলেপাড়া শিশু হরিনাথ।
আলাপে বিলাপে কতোবার আসে শিশুশ্রম,বৃদ্ধাশ্রম।
ক্লান্তি লিখতে গিয়ে আমি ভেবেছি স্রোতশ্রম।
Darun!!