Review This Poem

বন্ধুর উরু থাপড়ে টঙের বেঞ্চি কাঁপিয়ে
যে ছেলেটা অট্টহাসি দেয়
সে ও খুব একটা সুখী নয়,
কুঁজো কাধঁ নিয়ে বাসার সিড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে চোখভর্তি বর্ষাকালের ভারে সে নুয়ে পড়ে আরো।

ইস্ত্রি করা পাঞ্জাবির ভাঁজ থেকে
সিলভার স্টোনের ঘ্রান ভাসিয়ে
পরিপাটি গোছালো বক্তব্যে
যে ছেলেটা আলোড়িত করে পুরো সেমিনার,
সে আদতে খুব একটা গোছালো নয়।
ভাঁজ করা পাঞ্জাবীর ভেতর
নিজের ক্ষতবিক্ষত দলামোচড়া রুহের
অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকীর কথা, কাউকে গুছিয়ে বলতে পারেনি সে কখনোই।

পাব্লিক বাস কিংবা লেকচারের চেয়ার,
নিঃসঙ্গ ব্যালকনিতে হতে শোরগোলের মাছবাজার।
সবখানে অজস্র অসুখী মুখেরা হাসির ইউনিফর্ম পরে মিথ্যে বলতে গিয়েহৃদয়ের কাছে ধরা খেয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

এরা অসুখ উত্তরণের সামিয়ানা খুজতে গিয়ে অজস্র স্বেচ্ছামৃত্যু কুড়িয়ে আনে বারবার,হাহাকারের সেচে রাতের কোলে
ডালপালা গজাতে থাকে স্বেচ্ছামৃত্যুরা।

সিলিংফ্যান, স্লিপিং পিল কিংবা দীর্ঘলাফে
এদের একাংশের আজাদী আসে

অথচ অজস্র হৃদয়
অগুনতি স্বেচ্ছামৃত্যু চাষের কামলা খেটে যায়।

তোমার পাশের বেঞ্চের যে ছেলেটা
মাত্রাতিরিক্ত হাসির অপরাধে ক্লাশে মার
খায়,কে জানে হয়তো তার ও আছে, বড়োসড়ো এক স্বেচ্ছামৃত্যুর খামার।

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments