সব অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে
আমার বেঁচে থাকবার ঠোঁটে বিষাদের সিগারেট ধরিয়ে
যে রাতে তুমি আমাকে ছেড়ে যাচ্ছিলে
তোমাকে বলেছিলাম এভাবে অবহেলা করো না।
তোমার সামনে মেলে ধরছিলাম
যত্ন পুষতে থাকা আমাদের সব নিষ্পাপ স্বপ্নদের।
কতো কতো কবিতারা ভীড় জমিয়েছিলো
তোমার পায়ের কাছে আকুতির মিছিলে।
তবু তুমি সব কিছু ফেলে গ্যাছো।
আমাকে তোমার সাথে
জীবনের শেষ সীমান্তে নিয়ে যাবার কথা বোলে
যে বিষাদ অরণ্যে ছেড়ে গ্যাছো,
আমার হৃদয় বীণার সব তন্ত্রী ছিড়ে দিয়ে।
তবু আমার এখানে কোনো দাবীদাওয়া নেই।
অস্থায়ী পৃথিবীর জঘন্য স্রোতে ভেসে গিয়েকেবল চলে যাবার প্রবল প্ররোচনায়
তুমি আমার উপর হাজারটা অভিযোগ এনেছিলে
তোমার চোখের উঠোনে জ্বলছিলো
তীব্র প্রত্যাখ্যান,ছেড়ে যাবার প্রচন্ড স্পৃহা
পুঁড়িয়ে দিয়েছিলো আমার কথা বলবার শক্তিটুকুও।
তোমার কন্ঠে বাজছিলো ছেড়ে যাবার রণসঙ্গীত।
“চলে যাবো, যেতে চাই”
তুমি চলে গ্যাছো।
তুমি ছেড়ে গ্যাছো।
হে শ্রদ্ধেয়া।
তোমাকে অপরাধী বলবার মতো দুঃসাহস আমার হয়ে উঠবেনা কোনোওদিন।
তুমি তো আজন্ম নিষ্পাপ।
তুমি তো ফিরদাউসের ফুল।
আমি এক সন্ধায়
এই মিথ্যাচারের শহরকে বিদায় বোলে দিবো।
পেন্ডুলামের মতো ঝুলে যাবার আগে
জং ধরা দেয়ালে লিখে যাবো কেবল;
এই মিথ্যাচারের পৃথিবীতে
তুমি অচিরাচরিত হলেও পারতে।
ভালো থেকো ফিরদাউসের ফুল!
ফিরদাউসের ফুল
চৌধুরী সাজিদ সাইফুল্লাহ