আম্মুর মাথায় বাসা বেধেছে
অসভ্য পাকনা চুলের দলেরা।
গোসল শেষে আম্মু মাথা ঝাড়ে
শাদা শাদা চুল নড়ে।
হৃদয় কেঁপে ওঠে,
আম্মুর শাদা চুলের গোড়ায়
আমার সব স্বপ্নেরা জ্ঞান হারিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
বুকের বাঁ পাশে ব্যাথারা ভীড় করে
আম্মু যতোবার মাথা নাড়ে
শাদা শাদা চুলেরা ওড়ে,
য্যানো
আমার জীবন জাহান্নামে ছিড়ে পড়ছে তরতর করে।
অথচ বছর পাঁচেক আগেও তো
আম্মুর চুলেরা কালো ছিলো
মুখ ও ফুলতোনা এতো ওতো
শরীর ও ভীষণ ভালো ছিলো।
আম্মু বলতো দাদী নানী ডাকতে হয় বৃদ্ধাদের।
বৃদ্ধা হলে মানুষ চলে যায় তোমার দরবারে।
আম্মু তো কেবল এখনো মা
আল্লা রে
ক্যানো বৃদ্ধা বানিয়ে দিচ্ছো আম্মুরে।
আল্লাহ।
বলে দাও আম্মুর মাথার চুলেদের ; ও চুলেরা!
কালো থাকো তোমরা,
এতো তাড়াতাড়ি শাদা হইয়োনা।
আল্লাহ
আমার আম্মুরে এতো সহজে বৃদ্ধা বানিয়োনা
বৃদ্ধা হলে তো মানুশ চলে যায়
আমার ছোট্ট আরজি তোমার দরবারে;
এতো সহজে নিয়ে যেওনা আম্মুরে।
ইদানীং আম্মুর সাথে কথা শেষে
বালিশচাপা দিয়ে কান্না করি
আম্মুর শাদা চুলেদের ভীষণ ভয় করি।
আমার ইচ্ছে করে আট বছর বয়সে ফিরি
হোস্টেলের গল্প শোনাতে শোনাতে
আবার!
জায়নামাজে বসে থাকা মায়ের কোলে ঘুমিয়ে পড়ি।