নিরঞ্জন বলেছিল,
“ভালোবাসতে যাবি না কখনো ” ;
শুনে আমি শুধু নীরবে হাসতাম।
আমি তো জানতাম —
নিরঞ্জন ছিল অভিশপ্ত দেবতার মতো,
যে পাওয়ার খুব কাছে গিয়ে
হারাতো সবই।
স্কুলে ফুটবল খেলার সময়,
ফুটবলরূপী জাম্বুরাটা
একে একে সবার পায়ে যেত ;
খুব কাছ দিয়ে গেলেও
পা আর ছোঁয়া হতো না,
নিরঞ্জনের।
লেখাপড়ায় সবচেয়ে ভাল ছেলেটা
পরীক্ষায় ফার্স্ট হতো না কেন,
তা ছিল আমাদের কাছে
চরম রহস্যাবৃত।
এক মেঘ রৌদ্দুর ভরা অলস দুপুরে
শ্মশান জলে ভেসে যাওয়া
রক্তজবা দেখতে দেখতে,
নিরঞ্জনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম –
“তুই কি কখনো ফার্স্ট হতে পারবি না? ”
কিছুক্ষণ চুপ থেকে, শুধু বলেছিল —
“আমার ফার্স্ট হওয়া মানে তো,
বিপাশার চোখের জল ! ”
০৭.০৯.২০১৫