এই মঞ্চে কত বীরাঙ্গনার বীরাচারী হলো,
আহত পাখির টুঁঁটি চেপে ফেলে দেওয়া হলো কত রুমাল!
এই মঞ্চে!
নিরপরাধ ঝুলেছে, অনেক চোখের অশ্রু করেছি বধ,
খুনিরাও পার পায়নি বলে করেছি সমপ্রেম!
বিচারের নামে অতীন্দ্রিয় সঞ্চারণগুলো করেছি হত্যা,
অপ্রাপনীয় শরীর আমার হাতে এসে হয়েছে নত,
পাপী-তাপী সাথে হিংসার আগুনে কত যৌবনের-
শিশিরস্নাত নিষ্পাপ দেখেছি আমি!
গড়পড়তা কত চশমা খুলে নিয়েছি মিথ্যে তকমা লাগিয়ে!
মাঝে মাঝে নিজেও স্তব্ধ হতাম যখন ঘর্ষণের দায়ে,
ধবধবে ফেরেশতাদের আবাস তোয়াক্কা করি নাই!
এই মঞ্চে!
আসল হোতাদের এই রশি দিয়ে মস্তক হয়নি গোটা!
আমি করেছি ধার্মিকের যত পারি এটা-সেটা।
আমার কম্পিত হাত রুদ্রদীপ্ত? না!
তিন মাসের সেই ধর্ষক? না!
কেরোসিনে চুষিয়ে খাওয়া সেই শিক্ষক? না!
সাংবাদিক সেজে দেশ ঘাতক? না!
রাজাকারের আড়ালে দেশপ্রেম? না!
লেখক ছদ্ম নামে নির্লজ্জ? না!
কালোহাত সব শঙ্খমালা দাবিয়ে নিয়েছে!
আর বিষণ্ন পারুর মুখাবয়ব শিউরে উঠে আমার!
মাঝেমাঝে গন্ড ভিজায় বহু সময়!
হেতু একটাই,
আমার যত ওষ্ঠাগত হাত, সবই প্রহসন,
সব আজ্ঞাবাহী ঘাতকের দল!
সব নীলদের নীলনকশা!
হৃদয় ছেঁড়া দুঃখপূর্ণ কাষ্ঠ মাঝে মাঝে-
আর্তচিৎকার করে সমরে,
আমাকে এবার মুক্তি দাও!
2020-01-25