জলে ডুবিয়ে দেয়া লঞ্চটি শেষ আর্তনাদের সুযোগও পায় নাই
অচেনা বুড়িগঙ্গার তীরে, দুপুরে,ডুকরে কাঁদে আমার স্নেহের ভাই
আমি তো তলিয়ে গেছি, এমনকি আমার ছায়াকেও দেয়া হয়নি সময়
শুধু একবার সন্তানের মুখ ভেসে উঠলে কে যেন বললো, ‘এখন দুঃসময়–
চোখের সামনে সবকিছু ডুবিয়ে দেয়া হবে, তারপর বসে যাবে ত্রাণের বাজার
প্রতিটি কফিনের পিছনে ছুটবে নষ্ট রাষ্ট্রের পুঁতিগন্ধময় সহানুভূতি ও চকচকে মিথ্যার ভাগাড়।’
আমার যে বোনটি সৌরভুবন বিদীর্ণ করে বিলাপ করলো, সে খুঁজে পাবে না আর শিশুটির দেহ–
যে-দেহে ঝুনঝুন করে বেজেছিল চুড়িহাট্টা থেকে কিনে দেয়া কয়েকটি ঝিলমিল চুড়ি– সাতরঙা স্নেহ।
এভাবেই,বিধাতার করাল কোপে ডোবে সবকিছু,আমাদের ভাসমান কাল
তদন্তে বন্দী হবে জনতার শোক, অনাচার বৈধতা পাবে পুনরায়।
আর আমি ?
গহীন পাতাল!
(১৫ আষাঢ়, ১৪২৭।।২৯ জুন ২০২০।। বুড়িগঙ্গায় গণহত্যার প্রতিবাদ জানাই,ঘৃণা জানাই রাষ্ট্রদালালদের…)