ঈশ্বরের ভাঙা লাঠি
প্রতিটি যুদ্ধেই স্বপ্ন এবং সত্যকে হত্য করা হয়েছিল।
দিনশেষে খড়ের মাচায় ঘুমিয়েছিল যারা , তাঁদের নিমীলিত চোখের মুদ্রায়
ভ’রা ছিল ঝিল্কি-জ্যোৎস্নার মায়াবী কম্পন, আর
আগামী দিনের নির্জলা ঘাম ও কর্ষণের মর্মবিদারী সত্য।
সেইসব শ্যামাঙ্গের দেহ ফলবতী নারীর আহ্বানে আনত ছিল;
আমাদের নারীরা শিশুদের জন্য খুলে দিয়েছিল অনিঃশেষ দুধের নহর।
কেউ কেউ ভোরের প্রার্থনা শেষে জল ভ’রতে গিয়েছিল সোমেশ্বরীর ঘাটে
তাদের সবারই কাঁখে এখন জলহীন কলস আর ধু ধু কারবালা
হাহাকার করে ওঠে ; তাদের ছেঁড়া মসলিনে
লটকে আছে পারমানবিক হিংসার লকলকে জিহ্বা।
আমাদের কৃষক-শ্রমিক আর স্বপ্নভারাতুর প্রেমিকের রক্তে
সুদীর্ঘ স্নান শেষে জলপাই ওড়াতে চায় যুদ্ধবাজ শয়তান।
হায় ! আমাদের শিশুদের জন্য সভ্যতার আর কোনও স্থাপত্যই অক্ষত রইল না।
ঈশ্বরের ভাঙা লাঠিতে ভ’র দিয়ে
মুখ থুবড়ে পড়ে আছে মানব জাতির নড়বড়ে বিশ্বাস !