এই যে একটা কবিতা, দো’তালা বেয়ে সোজা
উঠে গেল উপরে, পিঠে ভারী বোঝা
নিয়ে চলাফেরা সহজ না, কারণ
সন্ধ্যের পর আমাদের প্রেম করা বারণ
তখন আমরা বারে যাই, একটুআধটু মদ
গিলে নেই পৃথিবীর সকল বলদ
ও কবিদের নামে, ‘টু ইয়োর হেলথ’ বলে
চিয়ার্সও করি, যেন আর কেউ চলে
না যায় আসন ছেড়ে রাগ করে
কারণ উনাদের নামে আমরা ডরে
কিছু কই না, অথচ সামনাসামনি দেখা হলে
জনাবকে বসতে দিই, ভাঙা চেয়ার ঠেলেঠুলে
আমরাই বসে পড়ি, জনাবকে জিজ্ঞেস করি
কেমন আছেন উনার সন্তান ও পরী
কবিতা খান কি না তারা পেট ভরে
আর না চাইলেও অন্যের পাতে তুলে দেন জোর করে
অথবা রাত্তিরে ময়ান দিয়ে রাখা আটা
সাথে পোস্টমর্ডান কিছু কবিতা বাটা
গিলে নেন কোঁৎ করে হোঁৎকা কবিরা
এইদিকে আমাদের মতন একলা আর বিপ্লবী কিছু কবিতারা
ম্লান বসে থাকে যেন দামামা আর বাজবে না
পৃথিবীর সবাই শান্তিতে ঘুমুচ্ছে, যুদ্ধ হবেনা
পৃথিবীর সব মদ শেষ হয়ে আসছে, উঠে যাবে নাকি যাবতীয় বার
পরের জন্মে কবি হয়ে জন্মাবে তারা, এই জন্ম থাকুক কবিতার!