যাহা বলিব সত্য বলিব, সত্য বই মিথ্যা বলিব না
জর্জসাব, আমি কেরোসিনের লাইনে না দাঁড়িয়ে তেল নিই তেল দিই
ছেলের চাকরীর জন্য অন্য বেকারের সাথে প্রবঞ্চনা করি
দরিদ্রতার জন্য ভগবান, সরকারকে গাল দিই
ঘুষ দিয়ে নিজের কালো মেয়েটকে পাত্রস্থ করি
বাবাকে সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা করাই
বউয়ের গহনা কিনি পি সি চন্দ্রে
ছেলেকে দিয়েছি সতেরো হাজারের স্মার্ট ফোন
মায়ের আড়াইশো টাকার চশমার ফ্রেম বদলাইনি
এসবের পরেও, বিশ্বাস করুন জর্জসাব
আমি গীতা ছুঁয়ে মিথ্যে বলি
কিন্তু গীতবিতান ছুঁয়ে মিথ্যে বলি না।
এসব পাপের পরেও পুরোনো তাক থেকে
গীতবিতান নামিয়ে ধূলো ঝেড়ে গাই –
“এই দীনতা ক্ষমা করো প্রভু…… ”
প্রেমিকাকে পিল কিনে দিয়েছি
পাশের বাড়ির বউদিকে মনে মনে কামনা করি
বাস কন্ডাক্টর না বললে টিকিট কাটিনা
কালমেঘ, অর্জুন গাছের ছাল রোজ ভিজিয়ে খাই
অথচ জীবনে একটা গাছও লাগাইনি
বিশ্বাস করুন জর্জসাব –
আমি গীতা ছুঁয়েও মিথ্যে বলি
কিন্তু গীতবিতান ছুঁয়ে মিথ্যে আসে না ।
কমদামী ভালো গিফ্ট কিনতে গিয়ে আর
নিজেকে সুশিক্ষিত সম্ভ্রান্ত দেখাতে গিয়ে একবার
একটি গরীব ছাত্রের জন্মদিনে তাকে একটি গীতবিতান উপহার দিয়েছি ,
পৃথিবীতে যদি পুণ্য বলে কিছু থাকে তবে
এই আমার সম্বল!
বিশ্বাস করুন হুজুর –
আমি গীতা ছুঁয়ে মিথ্যে বলতে পারি
গীতবিতান ছুঁয়ে মিথ্যে আসে না
গীতবিতানের দিব্যি বলছি আমি অমানুষ ।