মিছিলে যখন আমি মোশতাকের শবদেহ মস্তিষ্কে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম,
তখন আমার ঠিক ডানপাশে ছিলো স্বৈরাচারী সরকারের আততায়ী,
আর বামপাশের সদাহাস্যময়ী বন্ধুটির বুকপকেটে শোভা পাচ্ছা রাষ্ট্রীয় কলম,
তবু আমি বাকস্বাধীনতার জন্য স্লোগানে স্লোগানে চিৎকার করে উঠেছিলাম,
বলেছিলাম, কথা বলবার অধিকারে মানুষকে মেরে ফেলার অজুহাতে যে আইন-
সে আইন, বাতিল করো, মানুষকে এভাবে বোবা বানাবার যন্ত্র সরিয়ে নাও!
আপনারা বলছেন কারাগারে লাশ হয়ে পড়ে থাকা মোশতাকের কথা,
খুব মনযোগ দিয়ে শুনছেন নির্যাতিত কিশোরের কথা, আর ভয়ে কাঁপছেন!
আমি স্পষ্টত জানি, আপনারা আর মুখ খুলবেন না, ভয়ে ঘুমাতে পারবেন না,
অথচ স্বাধীনতার পঞ্চাশবছর উদযাপনের এই প্রহরে যারা মানুষের-
অধিকার আদায়ের উচ্চারণ থামিয়ে দিতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলবেন না!
সাহস করে আপনার ঐ আঙুল তুলতে পারবেন না স্বৈরাচারী সরকারের দিকে,
মিছিলে মিছিলে গুঁড়িয়ে দিতে পারবেন না, এই ভয়াবহ মানুষ মারার যন্ত্র!
যদি বেঁচে থাকাটাই সব হয়, তবে এভাবেই থাকুন, মূক আর বধির হয়ে বেঁচে থাকুন,
আগামী প্রজন্মের ঘৃণার লালা শরীরে মেখে বেঁচে থাকুন, অধিকারহীনতায় বেঁচে থাকুন,
জীবনমৃত এক শরীর নিয়ে নেতিয়ে পড়ুন ঐ মিথ্যেবাদী রাষ্ট্রের বিছানায়!