যাদের বাবা নেই, তাদের ক্ষিধেটাও চুরি হয়ে যায়,
ভাতের থালায় অবহেলাভরে পড়ে থাকে নির্লজ্জ আয়ু!
যে যাওয়ার সে চলে যাবে, তোমাকে বাঁচতে হবে,
কারা যেনো এমন একটা নির্মমতা স্কুলের সাদা শার্টে লিখে দেয়!
তারপর?
ঐ জীবন বয়ে চলা, বাবা না থাকায় সাহসী হয়ে ওঠা হয় না আর,
যারা সাহস দেখানোর উদাহরণ টানবেন, তাদের স্পষ্ট বলে রাখি-
বাবা ছাড়া যে সাহস, তার পুরোটাই দুঃসাহস, মিথ্যে বাহাদুরি!
যাদের বাবা নেই, রোজ বিকেলে তাদের একলা লাগে খুব,
ছুটতে ছুটতে একজোড়া পা উঠে যেতে চায় প্রিয় কোনো কাঁধে,
অথচ পৃথিবীর বুকে হঠাৎ যেনো ওজন বেড়ে যায়,
আস্ত একটা শৈশব মুখ থুবড়ে পড়ে যায় সবুজ ঘাসে!
তারপর?
ঐ আর কি! বেড়ে ওঠার নাম করে বড় হয়ে যাওয়া,
একটা কাঁধের অভাবে সেই বড় হয়ে যাওয়াটা মাপা হয় না আর,
বাবার কাঁধের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁধ মিলিয়ে নেওয়া হয় না!
প্রশ্ন উঠতে পারে, যাদের বাবা নেই, তাদের কি মা থাকে না?
তা থাকবেনা কেনো? মা তো থাকেই, ওখানে কোনো কমতি থাকেনা,
বরং মা যেনো বাবা হয়ে উঠতে গিয়ে আস্ত একটা ভালোবাসার পাহাড় হয়ে যান!
তবু যাদের বাবা নেই, তাদের হঠাৎ এক বিকেলে খুব একা একা লাগে,
মাকে লুকিয়ে শার্টের কলারে কান্নার জল লুকানো লাগে!