জীবন থেকে পালিয়ে আর কতদূর যাওয়া যায়!
একটু সামনে গেলেই রেল স্টেশন, তারপর রেলগাড়ি!
এরপর?
কু ঝিকঝিক শব্দে যতদূর যাবেন-
স্মৃতির আলপথে হেঁটে হেঁটে ঠিক ততদূর ফিরে আসবেন!
জানি, আমার কথাগুলো বিশ্বাস হবে না আপনার,
শত চিঠি ডাকবাক্সে রাখার পরও যার বিশ্বাসের জবাব আসে না,
সে কি করে বিশ্বাস করবে এমন একটা শূন্য জীবনে!
আপনাকে বরং আনন্দের কথা বলি,
আনন্দ মানে হাসি-খুশি থাকার আনন্দ নয়, আমার বন্ধু আনন্দ,
চাকরি হারিয়ে ছাদের সিলিং এ ঝুলে গিয়েছিলো,
তার সুইসাইড নোটে লেখা ছিলো, আর যাই হই-
কিছুতেই ভিখিরি হতে পারবো না!
অথচ আনন্দ ভুলে গিয়েছিলো তার পূর্ব পুরুষদের কথা,
যারা ভিখিরি নয়, কৃষক ছিলো।
আর কিছু না হোক, আনন্দ কেবল কৃষক হয়েই বাঁচতে পারতো,
ওর লাশটা নামানোর পর, সিলিং এ শক্ত করে বাঁধা দড়িটা টেনে দেখেছি,
মরবার আগে ঐটুকু শক্তি ওর হাতে ছিলো!
অথচ দেখুন, জীবন থেকে পালাবার নাম করে-
আনন্দ কি অদ্ভুত এক মিথ্যে লিখে গেলো টুকরো কাগজটায়!
তাই আবারও বলছি, বিষাক্ত অতীতের দোহাই দিয়ে-
দয়া করে এভাবে পালাবার ভান করবেন না,
পেছন ফিরে একবার ভালো করে তাকিয়ে দেখুন,
বেঁচে থাকবার মতো শক্তি ঐ অতীতেই লুকানো আছে!
(অপ্রকাশিত কবিতা)