চলো হঠাৎ একদিন…
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভেঙ্গে ফেলি সব চিৎকার,
পাঁজর থেকে বের করে আনি যত দীর্ঘশ্বাসের চিরকুট,
তারপর গ্যাস বেলুনের নাকে বেঁধে আকাশে ওড়াই!
সবুজ মাঠে চিত হয়ে শুয়ে থাকি পাশাপাশি,
এই তারাটা আমার, ঐ তারাটা তোমার এমনসব পাগলামি করে-
কাটিয়ে দেই পুরো একটা বিষণ্ণ রাত!
চলো হঠাৎ একদিন…
আঙুলের বুকে রাখি পেন্সিল আর আঁকি তোমাকে-আমাকে,
যে গল্পের কোনো শেষ নেই, সেই গল্পের পথ ধরে হেঁটে যাই,
ছুঁয়ে যাই রেলপথ, সমুদ্রের বালুতট আর পাহাড়ের সবুজ,
তারপর হঠাৎ থেমে গিয়ে আমরা আমাদের দিকে তাকাই,
ভেজা ঠোঁটে ঠোঁট রেখে করি ক্ষ্যাপাটে চুম্বন,
তোমার এক স্তনে চুমু খেয়ে আরেক স্তন দাবী করি,
তোমার ভেতরে আমি তলিয়ে যাই!
চলো হঠাৎ একদিন…
কিছু ফুল ছিঁড়ে নিয়ে তোমার খোঁপায় বেঁধে দেই,
তারপর তোমার কালোচুলে নামিয়ে আনি অদ্ভুত আলোকরাত্রি,
যদি শীত এসে যায়, আমার জামাটা দেই তোমাকে আর-
তোমাকে টেনে নেই আমার উষ্ণ হৃদয়ের আলিঙ্গনে,
আর যদি বসন্ত উৎসবে ওরা ডেকে নেয় আমাকে-তোমাকে,
সব ব্যাথা লুকোচাপা দিয়ে গেয়ে উঠি পরিযায়ী পাখির গান!