যেহেতু এখনও বেঁচে আছি, মরে যাইনি পৃথিবীর নিয়মে,
আমার জন্য তোমার যাবতীয় শোক আয়োজন আজই শুরু হোক!
যেদিন চলে যাবো, সেদিন হয়তো শোকে অথবা-
তাড়াহুড়োয় অনেক কিছুই বাকি থেকে যাবে!
আমার জন্য তুমি একটা কালো রঙের শাড়ি কিনে রাখো,
তোমার অতসব রঙিন শাড়ির ভাঁজে তাকে যত্ন করে রেখো,
সংগ্রহ করো পৃথিবীর সবচাইতে বিষণ্ণ গোলাপ,
সুতোর কারুকাজে সফেদ রুমালে লেখো শোকগাঁথা,
প্রস্তুতি নাও আর কেন পেতে রাখো প্রচারমাধ্যমে!
কোনো এক শীতের রাতে আমার শোকসংবাদে-
হঠাৎ চমকে ওঠার জন্য মনকে শক্ত করো!
আমি স্পষ্টত জানি, সেদিন তোমার সাথে আমার দেখা হলে,
কেউ কিছু মনে করবে না, কেউ শেকল পরিয়ে রাখবে না তোমাকে,
পৃথিবীর এক অদ্ভুত নিয়মে মৃতদের প্রতি কোনো ক্ষোভ থাকে না কারও,
অথচ তারা জানে না, একটা মৃতদেহ ঘটাতে পারে শ্রেষ্ঠ বিপ্লব!
সে কথা থাক, তুমি বরং আমার মুখের দিকে তাকাও,
আমার কথাগুলো মন দিয়ে শোনো আর প্রস্তুতি নাও,
যেনো আমি মরে গেলে-
তুমি একটা কালো শাড়ি, প্রিয় চাদর আর যাবতীয় প্রেম নিয়ে-
আমার কফিনের সামনে এসে দাঁড়াতে পারও!
তারপর আমার শরীর ঢেকে দিও কালো শাড়ির আঁচলে,
শিয়রে রেখো বিষণ্ণ গোলাপ আর হৃদপিণ্ড বরাবর সাদা রুমাল!
সবশেষে আমার ঠোঁটে এঁকে দিও দীর্ঘশ্বাসের চুম্বন!
ভয় নেই, মৃতদের প্রতি কারও কোনো ইর্ষা থাকে না,
যদিও একটা মৃতদেহ ক্ষণিকে হয়ে উঠতে পারে শ্রেষ্ঠ প্রেমিক,
ঘটিয়ে দিতে পারে অদ্ভুত সব বিপ্লব!