সুমন অভিশাপ দিয়েছিলো তিথিকে, তিথিও করেছে শাপ-শাপান্ত,
সেসব সত্যি হলে, তাদের কাঠ-কয়লার জীবন হবার কথা ছিলো!
অথচ বছর না ঘুরতেই সুমনকে দেখা গেলো বাজারের ব্যাগ হাতে-
ব্যাস্ত সকালে, গালির তুবড়ি ছুটিয়েছে মাছওয়ালাকে উদ্দেশ্য করে,
তিথিকে দেখা গেলো, বাসি কাপড় ছেড়ে কপালে লেপ্টে থাকা-
সিঁদুরের দীর্ঘায়ু কামনা করে, পরিপাটি এক হেঁসেলে ঢুকে পড়তে!
বাড়ি ফেরার সময় সুমনের মনে হলো, বউটা বড্ড ফুল ভালোবাসে!
চুলো জ্বালিয়ে তিথি ভাবলো, এইসব সকালে লোকটা চা ভালোবাসে!
সুমন কিনলো, একটা আস্ত গোলাপ আর হঠাৎ পাওয়া ঢেঁকি শাকের আঁটি,
সুমনের বউ ক’দিন ধরে এর কথা খুব করে বলছিলো, কি লোভ!
তিথি চুলোর পানিতে একমুঠো চাপাতা ঢেলে দিয়ে ভাবলো- আহা!
ক’টা ফুলকপির বড়া ভেজে দিলে লোকটা হামলে পড়ে খায়! কি লোভী!
দরজায় দাঁড়িয়ে, বাজার-সদাই সামলে সুমন কলবেলে আঙুল রাখলো,
কলবেল বেজে উঠতেই তিথি ছুটে গেলো ময়দামাখা হাতে দরজা খুলে দিতে,
সুমন যে এখনো অল্পতেই খুব অস্থির হয়ে পড়ে, এতোটুকু দেরি সইবেনা!
2023-11-23
বেশ অনুপ্রেরণ কবি দা