তারপর এপ্রিলের সকাল বের করতে থাকে শুঁড়িখানার সব..
সাঁজেলিজের শ্যাম্পেন, চিৎমরমের দোচোয়ানী, রঙরাঙের মদ, পাট্টার বাংলা, স্কটিশ রোডের চোলাই, সিল্ডের তাড়ি…
প্রগাঢ় দুঃখে পান করতে থাকি। আমি গণিতে কাঁচা, সাতের সাতে সতের গুণ করতে দিলে ক্যালকুলেটর লাগে, শুধু কলম দিয়ে আঁক কেটে কষতে লাগলাম এক বছরে আলো কতটুক দূরে যেতে পারে। আলো হয়তো বছরে অনেক দূরপর্যন্ত যায়, কিন্তু আমরা? আমরা কি তার চাইতেও দূরে? এতটাই দূর যেখানে আলোর যেতে কয়েককোটি বছর লাগবে? এতটাই দূরে যে আলো পৌঁছাতে পারে না? কিংবা আলো শুষে নেয় আমাদের মাঝে থাকা কোন কৃষ্ণ-গহ্বর।
কষতে থাকি, বরাবরেই মতো ভুল করে ফেলি। হতাশার প্রচন্ড ঢেঁকুর ধেয়ে আসে গলা বেয়ে। ভাবতে থাকি আমি..ভাবতে ভাবতে স্থির বৃক্ষে পরিণত হই। আর অনেকগুলো কাঁঠঠোকরা উড়তে থাকে আকাশে।