আমার চোখের মৃত্যু নেই,
অমর দুচোখ দেখে ফেলে যা কিছু দেখবার নেই।
দেখে,ধর্ষিতার বুকের ওপর নগ্ন নৃত্য,
আন্দোলনরত ছাত্রের ওপর নির্মম বুলেট, ছিন্নভিন্ন হৃৎপিন্ড মেখে থাকা ডাস্টবিন,
কুকুরেরা টেনে নিয়ে যায় নাড়িভুঁড়ি আর যৌনাঙ্গ।
চোখ যা দেখে মুখ তা বলতে পারেনা,
মুখ বাধা থাকে অযোগ্য ডাক্তারের অদক্ষ সেলাইয়ে।
ঠোট দুটো অসাড় হয় বিরতিহীন রক্তক্ষরণে,
তবুও চোখ খোলা থাকে,
দেখে ফেলে যা কিছু দেখবার নেই।
আমার হাত, হাত রাখে বেশ্যায়;ঘন্টায় যার হয় হাতবদল,
হাতড়িয়ে অন্ধকারে উন্মাদিত হয়,
ভাগ্যদোষে সাক্ষী হয় না বলা অতীতের,
আমার শরীর বারবার শরীর বদলায়,জীর্ণ-শীর্ণ;
চামড়ার নেশায় বুদ হয়ে ভুলে যায় হিতাহিত,
উপলব্ধি করে দোজখী আগুন,
আমার অমর শরীর অনুভব করে নরম স্পর্শ,
রাত্রি শেষে প্রভাতবেলায় ঘুমিয়ে থাকা নগ্ন উরু,
আমার অমর চোখ দেখতে চায়না কিছুই,
তবু দেখে ফেলে,বুঝে ফেলে;
যা কিছু বুঝবার নেই।