এ্যাত মৃতদের আনাগোনা,জঙ্গলে রক্ত সঞ্চালন,সবুজ ঘাসে সোঁদা গন্ধ,কোকিলের ক্রন্দন,কবিদের মাথা ঘুরিয়ে দেয়~বাঞ্চোদেরা নেমে পড়ে গাঁদা গাঁদা সঙ্গমনামা লিখতে;আমার এসব কিছু চাই না
হে প্রিয়,রাষ্ট্র
তুমি অন্তত শীৎকার শোনার অধিকার টুকুতো আমায় দাও!
আকাশে আকাশে বোমার বসবাস,আবাসন প্রকল্পে পৃথিবী ক্লান্ত,সূর্যের গতিতে ভাঁটা পড়া দেখে বিজ্ঞানীরা স্তম্ভিত~বাঞ্চোদেরা টেলিস্কোপ দিয়ে দূর দূরান্তে বসবাসকারী ভীনদেশে বসবাসের জায়গা খোঁজার জন্য ব্যাস্ত;আমার এসব জানার প্রয়োজন নাই
হে প্রিয়,রাষ্ট্র
তুমি অন্তত কৃষ্ণচূড়া রাঙা ওষ্ঠের স্পর্শ পাওয়ার অধিকার টুকুতো আমায় দাও!
সবপথ বন্ধ করে জন্ম-মৃত্যু,সাপের আক্রমণে মাতৃজঠরে ক্ষুধা আক্ষেপ নিয়ে যে পাখি বেঁচে আছে তার বাসায় বৃষ্টি,নদীর শ্বাসকষ্টে চুক্তি হওয়া নিয়ে দেশদ্রোহীরা রুষ্ট~বাঞ্চোদেরা প্লাকার্ড নিয়ে মিছিল মিটিং এ নেমে পড়ছে;আমার এসব নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই
হে প্রিয়,রাষ্ট্র
তুমি অন্তত দেবীর রজঃস্রাবে তৃষ্ণা মেটানোর অধিকার টুকুতো আমায় দাও!
বাস্তহারা উট,রাত বিরাতে নৈশপ্রহরী কামনা,সাড়ে তিনহাত জমির জন্য লিপ্ত মৃত সঙ্গমের গল্পে ভরা সিংহাসন দেখে ঈশ্বর আৎকে উঠে~বাঞ্চোদ শোষকদের ধর্মগ্রন্থের মালিক করে সর্বহারাদের দাস করার পন্থা পাঠাচ্ছে;আমার এসব দরকার নাই
হে প্রিয়,রাষ্ট্র
তুমি অন্তত তিন ইঞ্চি জায়গার অধিকার টুকুতো আমায় দাও!
হে প্রিয়,রাষ্ট্র
তুমি অন্তত বেঁচে থাকার অধিকার টুকুতো আমায় দাও
তুমি বরঞ্চ স্বার্থক সঙ্গমের অধিকার টুকুই আমায় দাও!