তুমি ছিলে না বলে হেমন্ত আসেনি, শিশির পড়ে নি ঘাসে
তুমি ছিলে না বলে শীতের দাপট, রুক্ষতা ছিলো বাতাসে
চলো হেঁটে যাই অনেকটা পথ দু’পায়ে শিশির মেখে
সব ভালোবাসা তোমার জন্যই দিয়েছিলাম রেখে
তোমাকে পাবো নিজের করে ভাবিনি, এই হেমন্তের শেষে।
তোমার জীবনেও শীতের স্থায়িত্ব ছিলো, এখন মধুমাস
না বলেই জীবনে রঙ ধরে! কখনো থেকে যায় বৈশাখ।
মাঠে মাঠে ধান কাটা শুরু, নবান্নের ধুম
কালও আসতো না জানো! দুচোখে ঘুম
হেমন্তের সোনা রোদ, ঝলমলে ওই দেখো নীলাকাশ।
আর ভাতঘুম দিওনা, বড্ড তাড়াতাড়ি সন্ধ্যে আসে নেমে
পাশাপাশি বসে গল্প হোক, এতদিন জীবনটা ছিলো থেমে
তোমার জন্য গোলাপ আনবো, লাল টকটকে
সব লাল ঝরে গেছে তোমার জীবন থেকে
দু’জনে জাগবো কিছুটা রাত, তারপর চলে যাবো ঘুমে।
আমরা হাঁটবো হেমন্তের মাঠে, আলপথে, ফড়িংয়ের পিছু
শৈশব কৈশোর, যৌবন থেকে ধার করে আনবো জীবনী কিছু
শাড়ির আঁচল এলোমেলো করুক দুস্টু বাতাস
দু-বাহুতে ধরা দিয়ে ঘন হোক তোমার নিঃশ্বাস
আমরা থাকবো ওমে, শীতের কাছে করবোনা মাথা নিচু।
আমরা হাঁটবো হেমন্তের মাঠে, আলপথে, ফড়িংয়ের পিছু পিছু।